রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমালোচনা করেছেন। শিবসেনা নেতা বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে কর্ণাটকের বেলাগাভি অঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে আসছে। এই অঞ্চলের মানুষ গত সাত দশক ধরে কর্ণাটক থেকে মহারাষ্ট্রে ওই এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। কেন্দ্র তাদের এই দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করে চলেছে। তাদের প্রতি বঞ্চনা প্রদর্শন করছেন।
রাজ্যসভার সাংসদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকেও আক্রমণ করেছেন। সঞ্জয় রাউতের এই বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে যখন বেলগাভি সহ রাজ্যের মারাঠি ভাষী অঞ্চলগুলিতে মহারাষ্ট্রের নতুন দাবির পরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা যদি মানসম্মত হয় তবে তা বেলাগাভির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত’।
সঞ্জয় রাউত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “কেন্দ্র পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। কারণ সেখানকার মানুষ এটাই চায়, কিন্তু বেলাগাভির মানুষ ৭০ বছর ধরে মহারাষ্ট্রে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবি করে আসছে। বেলাগাভির মানুষ মহারাষ্ট্রের অংশ হতে চায়। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ইস্যু যদি জনগণের ইচ্ছার মানদণ্ড হয়, তবে তা বেলাগাভিতেও প্রয়োগ করা উচিত।”
আরও পড়ুন: < টানা ১২ ঘণ্টা পাশবিক অত্যাচার, কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে আটক আট >
মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই সীমান্ত বিরোধের বিষয়টি আবারও চলতি মাসের শুরুতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সীমান্ত বিরোধের কারণে কর্ণাটকে মহারাষ্ট্র থেকে আসা গাড়িগুলিতে ব্যপক ভাঙচুর করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাভিস ফোনে বোমাইয়ের সঙ্গে কথাও বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্র সরকারকে কাপুরুষ বলে উল্লেখ করে চন্দ্রকান্ত পাতিল এবং শম্ভুরাজ দেশাইকে তীব্র আক্রমণ শানান।
ভাষাগত ভিত্তিতে দুই রাজ্যের পুনর্গঠনের পর সীমান্ত সমস্যাটি ১৯৫৭ সালে শুরু হয়। মহারাষ্ট্র দাবি করে বেলাগাভি যা তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির অংশ ছিল। কারণ সেখানে মারাঠিভাষী মানুষের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। ৮১৪টি মারাঠি-ভাষী গ্রাম বর্তমানে দক্ষিণ রাজ্যের অংশ।