আর ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্র। করোনার দৈনিক ৯০ শতাংশ বৃদ্ধিতে রীতিমতো চিন্তিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিল্লি এবং আরও তিন রাজ্যে জারি হল করোনা সতর্কতা। ওই সব রাজ্যগুলোয় জনবহুল স্থানে মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি নিষিদ্ধ করা হল। এই ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশ যত দ্রুতসম্ভব লাগু করতে রাজ্য প্রশাসনগুলোকে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পর্যন্ত দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১,২৭৪ জন। মারা গিয়েছেন একজন। আশার কথা একটাই, দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়ালেও সেরেও যাচ্ছে তাড়াতাড়ি। সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ থেকে কমেনি। তাই বলে অবশ্য ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা সেই সব লোকজনকে নিয়ে, যাঁরা নানা কারণ দেখিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা নেননি। তাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ গভীর প্রভাব ফেলতে পারে বলেই স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন।
ইতিমধ্যেই দেশের অসংখ্য নাগরিক করোনার দুটো ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার তৃতীয় ডোজও পেয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যাঁরা তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন, সেই সব ব্যক্তিদের সংক্রমণ রোখার ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। তাঁরা সংক্রমিত হলেও বড় কোনও সমস্যায় পড়বে না-বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। ধাপে ধাপে নাবালকদেরও টিকাকরণ দ্রুতগতিতে চলছে। বহু নাবালক ইতিমধ্যেই করোনার দুটো ডোজই পেয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, কিশোরদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেক বেশি। তার ফলে চিন্তা কম বলেই স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব ভারতেও, কমতে চলেছে আর্থিক বৃদ্ধির হার, সতর্কবার্তা আইএমএফের
বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেশের রাজধানী দিল্লির। মঙ্গলবারই দিল্লিতে নতুন করে ৬৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, দিল্লিতে কেউ মারা যাননি। কিন্তু, মহারাষ্ট্রে তিন জন করোনায় মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা অবশ্য দিল্লির চেয়ে মহারাষ্ট্রে কম, ১৩৭ জন। সোমবারের চেয়ে সংখ্যাটা ৬০ জন বেশি। আর, এটাই চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। তাঁরা যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Read story in English