ডিপফেক সমাজের জন্য বড় হুমকি। নির্মাতাদের প্রতি এবার কঠোর কেন্দ্র। আনা হবে শাস্তির বিধান। এমনই ঘোষণা ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের । ডিপফেক প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় আজ সরকার ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব, সরকারি কর্মকর্তা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকের উদ্দেশ্য হল ডিপফেক কন্টেন্ট বন্ধ করার জন্য কৌশল প্রণয়ন করা এবং তাদের সমাধান করা। এর আগে ১৮ নভেম্বর, অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন যে সরকার সমস্ত বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ডিপফেক কনটেন্ট বন্ধ করার জন্য একটি নোটিশ জারি করেছে এবং শীঘ্রই এই প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ডিপফেক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে, অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে এটি একটি খুব গুরুতর সমস্যা। ডিপফেকস আমাদের সকলের জন্য একটি বড় সমস্যা।
দক্ষিণ অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্নার একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ডিপফেক নিয়ে উত্তাল হয় সমাজ। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বারে বারে ডিপফেকের গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্রকে সতর্ক করেছেন। এরপর সরকার সোশ্যাল মিডিয়া গুলির জন্য একটি নির্দেশ জারি করে । সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিপফেক সম্পর্কে বলেছিলেন যে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক।
বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে ডিপফেক বন্ধে কেন্দ্র শীঘ্রই একটি নতুন আইন আনবে অথবা বিদ্যমান আইনের কিছু সংশোধনী জারি করা হবে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে ডিপফেক ভিডিও এবং প্ল্যাটফর্মগুলি হোস্ট করার নির্মাতাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, "ডিপফেকগুলি গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন হুমকি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। যা সমাজ এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি আস্থাকে দুর্বল করতে পারে,”।