কোভিড ঢেউয়ের আচমকা ঝড়ে টিকাকরণের ক্ষেত্রেও ঝড় ওঠায় ভ্যাকসিনের ঘাটতি হয়েছে এবং এত ভ্যাকসিন পাওয়াও যায়নি। রবিবার সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। এও জানিয়ে দেওয়া হয় যে ন্যায়সঙ্গত বন্টন নিশ্চিত করার জন্য প্রধান বিবেচনা হিসেবে টিকা নীতিও তৈরি করা হয়েছিল।
এর আগে টিকাকরণ, সরবরাহ, ঘাটতি ও ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও রবিবার কেন্দ্রের তরফে আদালতের একটি হলফনামায় বলা হয় যে, ভারতের সংবিধানের ১৪ ধারা এবং ২১ ধারা মেনেই বিশেষজ্ঞরা, রাজ্য সরকার এবং ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় আলোচনায় বসে। এরপর তৈরি করা হয় টিকা নীতি। বয়সের ক্ষেত্রে ৪৫ উর্ধ্ব এবং তাঁর কমবয়সী এই দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, করোনার কবলে বয়স্ক প্রাণ! কীভাবে ঝুঁকির মধ্যেও জীবন বাঁচাচ্ছেন প্রবীণেরা?
সেই হলফনামায় সাফ জানান হয়েছে, 'অতিমারী নিয়ে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। জনসাধারণের বৃহত্তর স্বার্থে সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আদালত সরকারের উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে।"
এদিকে কয়েকদিন আগে প্রত্যেক রাজ্যকে বিনামূল্য করোনার টিকা দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর আগে বিনামূল্যে দেশবাসীকে টিকা দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির কোনও উত্তর না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন