সমকামী বিবাহ ইস্যুতে কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত। সময়ের দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্ট যখন বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে, সেই সময় গোড়া থেকেই সমকামী বিবাহের বিরোধিতায় অনড় কেন্দ্র। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকারের মতে সমকামী বিবাহ দেশের ঐতিহ্যের বিরোধী। পালটা সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, নারী এবং পুরুষের পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা কোথাও দেওয়া নেই।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সময়ের দাবি মেনে এগিয়ে যেতে চায়। তার ঠিক পরদিনই বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, তারা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। আদালত যেন এখনই বিষয়টি নিয়ে না-এগোয়। যতক্ষণ না রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে আলোচনা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ আদালত সমকামী বিয়ের ব্যাপারে এগিয়ে চলা বন্ধ রাখুক।
এর আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিয়েছিল, সমকামী বিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটি সম্পূর্ণভাবে সংসদের আওতাধীন। তার ওপর বিষয়টি যেহেতু রাজ্যগুলো এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোরও ব্যাপার, তাই এই ব্যাপারে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মতামত জানার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, দেশের সব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যদি এই আইন মানতে না-চায়, তখন বিড়ম্বনা দেখা দেবে।
আরও পড়ুন- জনবিস্ফোরণ দেশে! চিনকে ছাপিয়ে রেকর্ড গড়ল ভারত
তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কেবলমাত্র বিশেষ বিবাহ আইন অনুযায়ীই সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া যায় কি না, তা দেখা হচ্ছে। তারই মধ্যে শুনানির দ্বিতীয় দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ফের হলফনামা পেশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। আর হলফনামায় জানিয়ে দিল যে, বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট যেন এখনই কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না-করে।
নতুন হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, বিষয়টি রাজ্যগুলোরও যেহেতু বিষয়। তাই রাজ্যগুলোর বক্তব্যও সুপ্রিম কোর্টের শোনা উচিত। তাছাড়া এই ক্ষেত্রে বৈধ বিবাহের শর্তাবলি, বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণের মত বিষয়গুলোও জড়িত বলেই সরকার চিন্তাভাবনা করে চলতে চায়। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।