চিনে করোনা বাড়ছে। সেকথা মাথায় রেখে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিল কেন্দ্র। একইসঙ্গে সংক্রমিতদের সংগৃহীত নমুনা সরকার নির্ধারিত ইনসাকগ জিনোম ল্যাবরেটরিজে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর নির্দেশও দিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, শুধুমাত্র চিনই নয়। আরও কয়েকটি দেশেও করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখে এই সব নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছে পাঠানো বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, 'জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ব্রাজিল এবং চীনে আকস্মিকভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভ্যারিয়েন্ট ট্র্যাক করতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। একইসঙ্গে পজিটিভ কেসের নমুনার পুরো জিনোম সিকোয়েন্সিংও প্রয়োজন।'
ভূষণ জানিয়েছেন যে সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ করা হয়েছে যে সমস্ত সংক্রমিতদের নমুনাগুলো যাতে দৈনিক ভিত্তিতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর নির্দিষ্ট করা INSACOG জিনোম ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। ভূষণ জানান যে এই প্রক্রিয়া লাগাতার চালানো হলে করোনার নতুন রূপগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকার সময়মত সনাক্ত করতে সক্ষম হবে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, নতুন SARS-CoV-2 রূপগুলোর প্রাদুর্ভাব সনাক্ত করতে এবং কারা এগুলো বহন করছেন, তা চিহ্নিত করতে করোনা পজিটিভদের সনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্নতা, পরীক্ষা এবং সময়মত ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি।
আরও পড়ুন- ব্যাপক হারে বাড়তে চলেছে চিনের করোনা সংক্রমণ, কেন এমনটা ঘটছে?
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রতি সপ্তাহে ৩৫ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই টিকাকরণের গতিবৃদ্ধি প্রয়োজন। লক্ষ্য রাখতে হবে, দেশে করোনা সংক্রমণ যেন ১,২০০ না-ছাড়ায়। সেই জন্যই নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এই সংক্রমণের জন্য দায়ী কি না, তা-ও চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সময়মতো নমুনা পরীক্ষা গেলে, ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করা সম্ভব। পাশাপাশি, কোথাও করোনার টিকাকরণ ঠিকমতো না-হয়ে থাকলে, সেই সমস্যাও মেটানো সম্ভব।
Read full story in English