Advertisment

নাগেশ্বরের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা কেড়ে অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে সিভিসি-কে ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cbi

(বাঁ দিক থেকে) রাকেশ আস্থানা ও আলোক ভার্মা

সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে সিবিআই-এর সদ্য অপসারিত ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে যাবতীয় তদন্ত আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ নভেম্বর হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হল। এছাড়া, সদ্য নিযুক্ত সিবিআই ডিরেক্টর নাগেশ্বর রাও যে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না সেই নির্দেশও দিল দেশের শীর্ষ আদালত। বলা হয়েছে, নাগেশ্বর কেবল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির দৈনন্দিন কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন। এছাড়া, নিযুক্ত হওয়া থেকে (২৩ অক্টোবর) এই মুহূর্ত পর্যন্ত নাগেশ্বর রাও যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেগুলির বিস্তারিত বিবরণ লিখিতভাবে একটি বন্ধ খামে করে জমা দিতে হবে আদালতে। তদন্ত এবং তদন্তকারী অফিসার অদল বদলের যেসব সিদ্ধান্ত নাগেশ্বর রাও নিয়েছেন, সেগুলিও জানাতে হবে আদালতকে। সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত অলোক ভার্মার আবেদনের ভিত্তিতেই শুক্রবার এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায়, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের করা তদন্ত দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টেরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ.কে. পট্টনায়ক। এদিন অলোক ভার্মার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী এফ.এস. নরিম্যান।

আরও পড়ুন- সিবিআইয়ে রদবদল কতটা প্রভাব ফেলবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে?

এদিকে অলোক ভার্মার পর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআই-এর স্পেশ্যাল ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত রাকেশ আস্থানাও। তাঁকে পদ থেকে সরানোর কেন্দ্রীয় নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন আস্থানা। তবে আদালত তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। আস্থানার আরও আগে আবেদন জমা দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।

আরও পড়ুন- সিবিআই-এ ক্ষমতা হস্তান্তর, কোন সাতটি ফাইল পড়ে রইল?

উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাতে কেন্দ্র এক নির্দেশিকা জারি করে সিবিআই-এর শীর্ষপদে নাগেশ্বর রাও-কে বসায় এবং দুই বিবাদমান অফিসার অর্থাৎ অলোক ভার্মা এবং রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রথম থেকেই নিশানা করেছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। তাঁর দাবি, অলোক ভার্মা যেহেতু রাফাল চুক্তির নথি পত্র ঘেঁটে তদন্ত শুরু করেছিলেন, তাই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছেন 'চৌকিদার' মোদী। এদিন সকাল ১১টা থেকে রাহুলের নেতৃত্বে দিল্লিতে সিবিআই-এর সদর দফতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রাহুলের সরাসরি অভিযোগ, অনিল আম্বানির ঋণ মেটাতেই হ্যালের হাত থেকে রাফাল চুক্তি কেড়ে নিয়ে তা আম্বানির পকেটে ঢুকিয়েদেন 'বন্ধু' মোদী। আর ভার্মা সেই 'দুর্নীতির' তদন্ত শুরু করতেই এই অপসারণ। রাহুল একে 'প্যানিক অ্যাটাক' আখ্যা দিয়েছেন।

Read full story in English

supreme court cbi
Advertisment