/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/wheat.jpg)
ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের। যে দেশকে এশিয়ার খাদ্যভাণ্ডার বলা হয়, সেই দেশ আজ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। চাষবাস মাথায় উঠেছে ইউক্রেনবাসীর। বেঁচে থাকাই এখন তাঁদের কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অবশ্য সুখে নেই রাশিয়াও। তাদের বিরুদ্ধেও আমেরিকা এবং ন্যাটো-সহ প্রথম বিশ্বের দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার পর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার জেরে এমন অবস্থা হয়েছে রাশিয়ার যে তারা আর অন্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারছে না। আর্থিক লেনদেন করতে পারছে না। ডিজিটাল মুদ্রা আর নিজেদের মুদ্রার সাহায্যে যেটুকু লেনদেন করার চেষ্টা করছে, তা প্রায় না-করার মতোই। শুধু ইউক্রেনই নয়। রাশিয়াও ইউরোপে গম রফতানি করে থাকে।
কিন্তু, এই দুই দেশের রফতানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছে ইউরোপ। সংকটে পড়েছে আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশও। দেখা দিয়েছে খাদ্যের টানাটানি। বাঙালির যেমন ধান থেকে চাল উত্পাদনের ওপর খাদ্যের ভাণ্ডারের মূল অস্তিত্ব দাঁড়িয়ে আছে। তেমনই ইউরোপের বাসিন্দাদের আবার খাদ্য গমনির্ভর। সেই কারণে ইউরোপবাসী এখন গমের সংকটে ভুগছেন। ইতিমধ্যে সংকটের কারণে ইউরোপের বাজারে গমের দাম ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে। যুদ্ধের আগের সময়ের তুলনায় দাম বেড়ে গিয়েছে ৬ শতাংশ। কথায় বলে কারও যখন সর্বনাশ তো অন্য কারও পৌষমাস। এতে অবশ্য একদিক থেকে লাভ হয়েছে ভারতের। এদেশে ধানের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে গমও উত্পাদিত হয়। কারণ, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যের তালিকা গমপ্রধান।
আরও পড়ুন- জ্ঞানবাপির পর চূড়ান্ত টানাপোড়েন মথুরার কৃষ্ণজন্মভূমিতেও, মসজিদের বিরুদ্ধে এগোল নারায়ণী সেনা
বিশ্ববাজারে বর্তমানে গমের প্রতি চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারত তাই গম রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে দেশের ব্যাপক পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। দেশের অর্থভাণ্ডার শক্তিশালী হবে। সেই কারণে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক গম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা জানিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, 'সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে যেখানেই গমের চালানগুলো পরীক্ষার জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ১৩ মে বা তার আগে কাস্টমসের সিস্টেমে সেগুলো নথিভুক্ত হয়েছে, সেই সব ক্ষেত্রে চালানগুলো রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে।'
Read full story in English