চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে ইরান ভারতকে সরিয়ে দিয়েছে। এরপরই নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। ইরানের পদক্ষেপকে ভারতের জন্য 'বড় ক্ষতি' বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। এর ফলে কেন্দ্রের কূটনৈতিক কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি।
দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদন যুক্ত করে টুইটে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অভিষেক মণু সিংভি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, 'চাবাহার বন্দর চুক্তি থেকে ভারত বাদ পড়েছে। এটি মোদী সরকারের আসল কূটনীতি। মুখে ডঙ্কা বাজালেও আসলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। চিন চুপচাপ কাজ করেছে, তাদের আরও সুবিধা হয়েছে। ভারতের জন্য বড় ক্ষতি। কিন্তু আমরা আপনাকে কোনও প্রশ্ন করতে পারবো না!'
সিংভির টুইটে সংযুক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ, ইরান ভারত সরকারের কাছ থেকে ফান্ডিং-এর বিষয়ে বিলম্বের অভিযোগের পরে রেললাইন নির্মাণের কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত সরকার চার বছর আগে ইরান-আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী চাবাহার বন্দর থেকে জাহেদন পর্যন্ত একটি রেললাইন তৈরির জন্য ইরানের সাথে একটি চুক্তি করেছে।
চিন-ইরান ২৫ বছরের জন্য ৪০০ বিলিয় মার্কিন ডলার মূল্যের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। ফলে চাবাহার অঞ্চল চিনাদের জন্য করমুক্ত বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও চিন তৈল শোধনাগার, বন্দরেরও সুযোগ সুবিধা পাবে। তারপরই ভারতকে ওই প্রকল্প থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
চার বছর আগে চাবাহার রেল প্রকল্প তৈরি জন্য ভারত ও ইরান চুক্তি করে। এটি পাকিস্তানের গদর বন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এই প্রকল্প ভারতের জন্য কৌশলগত ও অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।
ইরানের মন্ত্রী মহম্মদ ইসলামি চাবাহার-জাহেদান ৬২৮ কিমি এই রেল প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। প্রকল্পটি বিস্তৃত অফগানিস্তান পার করে জারাঙ্গ পর্যন্ত। এই চুক্তির লক্ষ্য আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ায় একটি বিকল্প বাণিজ্য রুটকে রূপ দেওয়া। রেল প্রকল্পটি ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। ইরান রেলপথ এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (আইআরসিএন) এই রেলপথ নিরাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে তেহরানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইরানের রাষ্ট্রপতি রুহানি এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনির উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন