সন্তান কোলে ট্রাফিক সামলে ভাইরাল হয়েছেন চণ্ডীগড় পুলিশের কনস্টেবল প্রিয়াঙ্কা। এবার সেই কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিল চণ্ডীগড় পুলিশ। ঠিক কী হয়েছিল? সেটা জানতেই গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়বে, ততক্ষণ সেক্টর-২৯-এর ট্রাফিক পুলিশ লাইনের হালকা কাজে নিয়োগ করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন ওই কনস্টেবল। ৩ মার্চ যোগ দিয়েছেন কাজে। প্রথম দু’দিন তাঁকে বাড়ির কাছেই পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু শনিবার একটু দূরে সেক্টর ১৫/২৩ জংশনের ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমার অবর্তমানে সন্তানকে দেখভাল করার কেউ নেই। স্বামী মহেন্দ্রগড়ে আমার শ্বশুরবাড়িতে। ৪ দিন আগে আমি কাজে যোগ দিয়েছি। প্রথম দু’দিন বাড়ির কাছে পোস্টিং পেলেও, শুক্রবার আমাকে বলা হয় সেক্টর ১৫/২৩ জংশনে ট্রাফিক সামালাতে হবে। আমার বাড়ি থেকে সেটা বেশ দূরে। চাকরি যেমন আমার কাছে প্রাধান্য, তেমন আমার সন্তানও প্রাধান্য। তাই সন্তান কোলে নিয়েই কাজে যাই। পরে আমি এসএসপি ট্রাফিককে অনুরোধ করলে উনি আমাকে হালকা দায়িত্ব দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছেন।‘
এদিকে, ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে এসএসপি ট্রাফিক মনীষা চৌধুরী বলেন, ‘সন্তান কোলে একজন পুলিশ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমি এই ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছি আর ওই কনস্টেবলকে হালকা কাজে পাঠিয়েছি। ঠিক কী হয়েছিল জানতে চেয়ে তদন্ত কমিটি গড়েছি। চণ্ডীগড় পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর এক সহকর্মী ১৫/২৩ জংশনে উপস্থিত ছিলেন এবং প্রিয়াঙ্কাকে বলেছিলেন বাড়ি চলে যেতে।
পরে ট্রাফিক পুলিশ ইনস্পেক্টর গুরজিত কৌর তাঁকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্থানীয় এক পথচারী প্রিয়াঙ্কার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন। এমনটাই সুত্রের খবর।