চুল নিয়ে চুলোচুলি চণ্ডীগড়ে!

হেয়ার ট্রিটমেন্টে গাফিলতির জের, চণ্ডীগড়ের একটি সেলুনে আইনি নোটিস পাঠালেন এক মহিলা। অভিযোগকারিণীকে ১৭ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ সেলুন কর্তৃপক্ষকে।

হেয়ার ট্রিটমেন্টে গাফিলতির জের, চণ্ডীগড়ের একটি সেলুনে আইনি নোটিস পাঠালেন এক মহিলা। অভিযোগকারিণীকে ১৭ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ সেলুন কর্তৃপক্ষকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hair treatment, হেয়ার ট্রিটমেন্ট

অভিযোগকারিণীকে ১৭ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ সেলুন কর্তৃপক্ষকে। প্রতীকী ছবি।

চুল নিয়ে যেন চুলোচুলি হল চণ্ডীগড়ে। কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করাতে সেলুনে ছুটেছিলেন এক মহিলা। কিন্তু ট্রিটমেন্ট মনের মতো না হওয়ায় সেলুনের কাছে সটান আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন জনৈক মহিলা। এতেই শেষ নয়, অভিযোগ যাচাই করে দেখার পর ওই মহিলাকে ১৭ হাজার টাকা দিতে হবে পার্লারকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। যে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঞ্জাবের রাজধানীতে।

Advertisment

ঠিক কী অভিযোগ? নিশা ফুটেলা নামে এক মহিলা গতবছর ২৬ অক্টোবর সেক্টর ৪০ এলাকায় ‘দ্য স্ট্র্যান্ডস সেলুন’-এ হেয়ার বিউটি ট্রিটমেন্ট করাতে গিয়েছিলেন। ২ নভেম্বর তিনি ৪ হাজার টাকায় কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করান। এর দু’দিন পর নিয়মমাফিক চুল ধোওয়ার জন্য সেলুনে আসেন তিনি। চুল ধোওয়ার পর তিনি দেখেন যে, ট্রিটমেন্টের কোনও ফল মেলেনি। ট্রিটমেন্টের জেরে তাঁর চুল কেমন হয়, তা দেখার জন্য সেসময় তাঁকে আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করতে বলা হয় সেলুনের তরফে। কিন্তু কোনও ফল মেনেনি বলে অভিযোগ করেছেন নিশা।

আরও পড়ুন, Skin Care Tips: শীত আসছে, ডাক্তারবাবু বলছেন, ‘ত্বকের যত্ন নিন’

এরপর ২৮ নভেম্বর ফের ওই সেলুনে যান নিশা। তখন তাঁকে অন্য একটি হেয়ার ট্রিটমেন্টের কথা বলা হয়। সেইমতো তাঁর হেয়ার স্মুদনিং করানো হয়। এক্ষেত্রে তাঁকে সেলুনের তরফে বলা হয় যে, এবার ফল না মিললে তাঁকে পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সেইমতো ওই ট্রিটমেন্টের জন্য আরও ৩ হাজার টাকা দেন নিশা। কিন্তু হেয়ার স্মুদনিংয়ের পরও চুলের হাল ফেরে না। ২ ডিসেম্বর পার্লারে গিয়ে নিশা টাকা ফেরতের কথা বললে, তা নাকচ করে দেয় সেলুন কর্তৃপক্ষ। এরপরই ওই সেলুনে আইনি নোটিস পাঠান তিনি। একইসঙ্গে ক্রেতাসুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান নিশা।

Advertisment

এদিকে, ওই সেলুনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, ট্রিটমেন্টের পর নিশার চুল স্মুদ ছিল। হেয়ার স্ট্রেটনিং ট্রিটমেন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন নিশা। অর্থাৎ, হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিয়ে নিশা যে অসন্তুষ্ট ছিলেন না সে দাবিই করেছে সেলুন কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, সবদিক যাচাই করে গত ৩০ নভেম্বর ক্রেতাসুরক্ষা দফতরের তরফে বলা হয় যে, সেলুনে প্রশিক্ষণহীন কর্মীদের গাফিলতিতেই এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ওই মহিলা। একইসঙ্গে ক্রেতাসুরক্ষা দফতর জানায় যে, চুলের সাজ যেকোনও মানুষের সৌন্দর্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সে কথা মাথায় রেখে সেলুনগুলিকে আরও যত্নবান হওয়া দরকার। নিশার হেয়ার ট্রিটমেন্টের খরচ বাবদ ৭ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি,ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ৫ হাজার টাকা ও মামলার খরচ হিসেবে অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সেলুনকে।

Read the full story in English

national news