স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট সোমবার বিরোধী দলের নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে জামিন দিয়েছে। ৩১ অক্টোবরই, হাইকোর্ট নাইডুর চিকিৎসার জন্য চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল। নাইডু এখন হায়দরাবাদে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তেলুগু দেশম পার্টির শাসনকালে অন্ধ্রপ্রদেশে দক্ষতা উন্নয়ন কর্পোরেশনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই কেলেঙ্কারির অভিযোগে ৯ সেপ্টেম্বর নাইডুকে অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডি গ্রেফতার করেছিল।
সিআইডি অভিযোগ করেছে যে নাইডু এই মামলার প্রাথমিক অভিযুক্ত। তিনি শেল কোম্পানিগুলোতে সরকারি তহবিলের ৩৭১ কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগে জড়িত। এই ক্ষেত্রে এফআইআরটি ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর, নথিভুক্ত হয়েছিল। নাইডুকে যখন হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি নান্দিয়ালে সফর করছিলেন। তারপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে বিজয়ওয়াড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তারপরে তাঁকে বিজয়ওয়াড়ার দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি) আদালত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে প্রেরণ করে। রাজামহেন্দ্রভারমে রাজামন্দ্রি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছিল চন্দ্রবাবুকে। অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করার সময়, আদালত তাঁকে চিকিৎসার জন্য এবং তাঁর ডান চোখে ছানি অস্ত্রোপচার করা, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকদের একটি দলের পরামর্শ অনুযায়ী একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মেডিকেল চেকআপ করা, আর তারপর ২৮ নভেম্বর আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল।
আরও পড়ুন- এই কারণেই কি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল ভারত, কেন উঠছে এই প্রশ্ন?
উচ্চ আদালতে তাঁকে নিয়মিত জামিন দেওয়ার সময় জানিয়েছে, ২৮ নভেম্বর তাঁকে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হতে হবে না। নাইডুকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার সময় আদালত যে শর্তগুলি রেখেছিল, তা অনুযায়ী তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন না। রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে পারবেন না। এই নির্দেশ ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ২৯ নভেম্বর থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন।
চন্দ্রবাবু নাইডুর পার্টি টিডিপির অভিযোগ, কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসলে শাসক দল ওয়াই এস আর কংগ্রেসের তৈরি। যার মাথায় রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জগনমোহন বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিচ্ছেন বলেই অভিযোগ টিডিপির।