বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আর শুক্রবার দুপুরেই ফের জামা মসজিদ চত্ত্বর পৌঁছে গেলেন ভীম সেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। ততক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছে সেখানে। এক সময়ে দেখা গেল হাতে সংবিধানের প্রস্তাবনা ধরে তারস্বরে তা পাঠ করে চলেছেন আজাদ। সিএএকে 'কালো আইন' দাবি করে ঐক্যবদ্ধ ভারতের ডাক দিলেন। ভবিষ্যতের ভারত গড়ার ক্ষেত্রে এই আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করলেন।
এদিন জামা মসজিদের সামনে আজাদ বলেন, 'এই আন্দোলন সংবিধান রক্ষার আন্দোলন, দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার আন্দোলন। সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে।' তবে এদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষেই কথা বলেন তিনি। এরপর জোরবাগে কারবালা ও বাংলা সাহেব গুরুদ্বারেও যান চন্দ্রশেখর আজাদ।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ
দু'দিন আগেই চন্দ্রশেখরকে শর্তাধীন জামিন দেয় দিল্লির তিসহাজারি আদালত। নির্দেশ বলা হয়, বিধানসভা ভোটপর্বে চার সপ্তাহ দিল্লিতে থাকতে পারবেন না ভীম সেনা আর্মির প্রধান। তবে বলা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশ রওনা হওয়ার আগে তিনি জামা মসজিদ চত্বরে যেতে পারবেন। সেই সুযোগেই এদিন মসজিদ চত্ত্বরে যান সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারী আজাদ।
বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আজাদ।
দীর্ঘ লুকোচুরির পরে গত বছর ২১ ডিসেম্বর চন্দ্রশেখরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে এজন্য দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তিস হাজারি আদালতের বিচারক। বিচারক কামিনী লাও সরকারি কৌঁসুলিকে প্রশ্ন করেন, ধর্না বা অবস্থান বিক্ষোভে সমস্যা কী? প্রত্যেকের প্রতিবাদ দেখানোর অধিকার আছে। সংবিধান এই অধিকার দিয়েছে। এরপর ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘‘দিল্লি পুলিশ এমন করছে যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে রয়েছে!’’
ভীম সেনার কর্মী তথা জেএনিউয়ের পড়ুয়া বৃহস্পতিবার যতীন গোড়ায়া এর আগে বলেছিলেন, 'জামা মসজিদ পাকিস্তানে নয় বলে জানিয়েছিলেন বিচারক। সুতরাং আজাদ দিল্লির শাহিনবাগে যেতে পারবেন।' এদিন অবশ্য তিনি বলেন, 'চন্দ্রশেখর আদাজ শাহিনবাগে যেতে পারবেন না। তাঁকে শাহনারায়ণপুরেই এক মাস থাকতে হবে। যেভাবে তাঁর চলাফেরার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে তা নির্দিষ্ট পরিসরে আটকে রাখার শামিল। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানাব।'
Read the full story in English