চাঁদের 'শিবশক্তি' পয়েন্ট শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতের এই বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক চিন্তাধারার সাক্ষী থাকবে’। গ্রিস থেকে সোজা ইসরো পৌঁছে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিরাট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর।
ISRO-তে বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আপনারাই নতুন প্রজন্মের ‘রোল মডেল’, আপনাদের গবেষণা এবং বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম প্রমাণ করেছে যে আপনারা যা করতে চান, তা করে দেখান। দেশের জনগণ আপনাদের প্রতি আস্থা রেখেছে এবং সেই আস্থা অর্জন কঠিন হলেও তা আপনারা করে দেখিয়েছেন। দেশের মানুষের আশীর্বাদ সব সময় আপনাদের ওপর রয়েছে’। একই সঙ্গে চন্দ্রযান-৩ মিশনে মহিলা বিজ্ঞানীদের কর্মকাণ্ডকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নমো।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ISRO কেন্দ্রে বিজ্ঞানীদের সংবর্ধনা জানিয়ে বলেন, ‘২৩ আগস্ট, যখন ভারত চাঁদে তেরঙ্গা উত্তোলন করে ইতিহাস গড়েছে, সেই দিনটি এখন থেকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’হিসাবে পালিত হবে। মঙ্গলযানের সাফল্য, চন্দ্রযানের সাফল্য, গগনযানের প্রস্তুতি দেশের তরুণ প্রজন্মকে নতুন উৎসাহ দিয়েছে। আজ, বাণিজ্য থেকে প্রযুক্তি, ভারত 'তৃতীয় সারি' থেকে 'প্রথম সারিতে' উঠে এসেছে তাতে 'ইস-রো'-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বিরাট ভূমিকা পালন করেছে’।
উল্লেখ্য মহাকাশে ৪০ দিনের যাত্রা শেষে, চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের ‘অজানা’ দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এই সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী, যিনি চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের লাইভ টেলিকাস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অনলাইনে যোগ দিয়েছিলেন, আজ ইসরো বিজ্ঞানীদের সাথে দেখা করতে এবং অভিনন্দন জানাতে সোজা ইসরোর দফতরে পৌঁছান।
চন্দ্রযান-৩ যে জায়গাটি চাঁদে অবতরণ করেছে তার নাম হবে 'শিবশক্তি পয়েন্ট', ইসরো থেকেই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি চন্দ্রযান-২ যে জায়গায় তার পায়ের ছাপ ফেলেছিল সেই জায়গার নাম হবে ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’। এদিন গ্রিস থেকে সোজা বেঙ্গালুরুতে নেমে ইসরো ক্যাম্পাসে পৌঁছান মোদী। সেখানে গিয়ে তিনি 'জয় জওয়ান, জয় বিজ্ঞান' ‘জয় অনুসন্ধান’ স্লোগানও দেন।