ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে কলেজিয়াম ব্যবস্থা প্রয়োগের আবেদন বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস কে কাউলের ডিভিশন বেঞ্চ।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অনুপ বার্নওয়াল। এদিন সেই আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে এমন আবেদনের বিরোধিতা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। তাঁর দাবি, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে টি এন শেসনের মতো ব্যক্তিরা কাজ করেছেন এবং কখনও তাঁরা এই সাংবিধানিক পদের গৌরব ক্ষুণ্ণ করেননি। ফলে, এমন আবেদন অপ্রাসঙ্গিক।
আরও পড়ুন- শবরীমালা রায় পুনর্বিবেচনার পরবর্তী শুনানি ১৩ নভেম্বর, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
কলেজিয়াম ব্যবস্থা কী?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং চার জন প্রবীণ বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত হয় কলেজিয়াম। সুপ্রিম কোর্ট ও ভারতের হাইকোর্ট গুলির বিচারপতিদের নিয়োগ, বদলি এবং এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে এই কলেজিয়াম। এরপর তা কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশের হাইকোর্টগুলিতে এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাই চালু রয়েছে। তবে সংবিধানে এই ব্যবস্থার উল্লেখ নেই। ভারতের সুপ্রিম কোর্টেরই 'Three Judges Cases'-এর ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের দু নম্বর কর্তা দুর্নীতি মামলায় প্রথম অভিযুক্ত
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে ইভিএম দুর্নীতি হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। এছাড়া, নির্বাচনের দিন ঘোষণার সময় ইত্যাদি নিয়েও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি-কে 'সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার' অভিযোগ উঠেছে। আর এসব ক্ষেত্রে অভিযোগের তির মূলত থেকেছে দিল্লির নির্বাচন সদনের দিকেই।
Read this story in English