লকডাউনের চতুর্থ দফায় নিয়ম শিথিল হতেই ১৫ মে খুলল বদ্রিনাথের তীর্থযাত্রার পোর্টাল। কিন্তু নেই লম্বা লাইন, নেই তীর্থযাত্রীদের ভিড়ও। মন্দিরে নেই জাঁকজমক। গর্ভগৃহের ভিতরেই কোনওরকমে চলল পুজো।
কেরালা থেকে কোয়ারেন্টাইন শেষ করে সবে ফিরেছেন বদ্রিনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোধিত ঈশ্বর প্রসাদ নামবোদরি। লকডাউনে মন্দিরবন্দি হয়েছিলেন দেবতাও। ১৫ মে পর্যন্ত মন্দিরে বন্ধ ছিল সমস্ত পুজো এবং পুজোর ক্রিয়াকলাপ। ১৫ মে থেকে পুজো শুরু হলেও নেই তীর্থযাত্রীদের মন্ত্রোচ্চারণ। একই অবস্থা দেশের অন্য তিন ধামেও।
কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রীতেও একই অবস্থা। তীর্থস্থানগুলি খোলা হলেও তীর্থযাত্রীদের প্রবেশে এখনও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এমনকী লকডাউনে বন্ধ সেই সব এলাকার গেস্ট হাউস থেকে বাজার-দোকানপাটও।
তবে এ বছর এই চার ধাম বন্ধ থাকায় ভয়বফ ক্ষতির মুখে পড়েছে উত্তরাখন্ডের পর্যটন ব্যবসা। রাজ্যের আধিকারিকদের মতে জুন মাসের আগ পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যটকেরা আসতেন এই চার ধাম দর্শনে। কিন্তু মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত সেই ব্যবসা। ট্যুর অপারেটর থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার সার্ভিস প্রোভাইডার, দোকান, গেস্ট হাউস, আশ্রম সবাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ এবং বোর্ডের আর্থিক অবস্থা- সহ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ২২ মে এই চার ধাম দেবস্থান বোর্ডের প্রথম বৈঠক ডাকা হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন