অনবরত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গঙ্গোত্রীতে বাড়ছে ধসের আশঙ্কা। আগামী কয়েকদিনও এভাবেই বৃষ্টি পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগের ঘনঘটা। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক প্রশাসন। চারধাম যাত্রা সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। তিন দিন বন্ধ যাত্রা। আবহাওয়ার উন্নতি না হাওয়া পর্যন্ত যাত্রা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
উত্তরকাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূর দীক্ষিত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, যমুনোত্রীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা তীর্থযাত্রীদের বাদকোট এবং জানকিচট্টিতে থাকতে বলা হয়েছে। গঙ্গোত্রীগামী যাত্রীদের হরসিল, ভাটোয়ারী এবং মনেরিতে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া যাত্রা না করার অনুরোধ করা হয়েছে পূর্ণ্য়ার্থীদের। ভর্কদের অনেকেই যোশীমঠ ও চামোলিতে আটকে রয়েছেন।
কেদারনাথের পথে যাত্রা করা প্রায় ৪ হাজার যাত্রী লিনচৌলি ও ভিম্বালিতে সতর্কতামূলক আটকে পড়েছেন। জানিয়েছেন, রুদ্রপ্রয়াগের দুর্যোগ মোকাবিলা অফিসার এন এস সিং।
বদ্রীনাথ ও কেদারনাথের শীর্ষ চূড়াস্থানে হালকা তুষারপাত হচ্ছে। চামোলি জেলার অপেক্ষাকৃত নীচু অংশে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ধসের সম্ভাবনা আছে। উত্তরকাশী এবং দেরাদুনেও ভালোই বৃষ্টি পড়ে চলেছে।
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পিষ্কর সিং ধামির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অতি বৃষ্টির পূর্বভাস বিবেচনা করে সবধরণের সতর্কতামূল ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন সব সহায়তার। মুখ্যমন্ত্রী ধামি জেলা প্রশাসনকে আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে প্রতি ঘণ্টায় আপডেট দিতে বলেছেন।
প্রতি বছরই শীতের সময় প্রায় ছয় মাস কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী— এই চার ধামে যাত্রা বন্ধ থাকে। ফের এপ্রিল-মে মাসে ফের তা তীর্থযাত্রীদের দর্শনের জন্য থোলা হয়। তবে সাধারণত অক্টোবরের শেষ বা নভেম্বরের গোড়ায় ফের তীর্থযাত্রী এবং দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় চারধাম।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার উত্তরাখণ্ডের বেশিরভাগ পর্বতারোহন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সোমবার বন্ধ ছিল। বাতিল করা হয় পর্বতারোহন শিবির।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন