/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/supreme-court-1200.jpg)
সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
Supreme Court Verdict: জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আর নতুন করে কোনও অযোগ্যতার বিষয় জুড়তে চায় না শীর্ষ আদালত। গুরুতর ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট পাওয়া ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে কি না সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক সংসদ, বলল সুপ্রিম কোর্ট। দেশে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ক্রমশ বাড়ছে, এই মন্তব্য করে দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘জাতি এ সম্পর্কিত আইনের জন্য অপেক্ষা করছে।
তবে শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশাবলী দিয়েছে। প্রথমত কোনও প্রার্থীকে নির্বাচনী ফর্ম ভরার সময়ে মোটা হরফে (বোল্ড) লিখতে হবে, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে নজের দলকেও অবহিত করতে হবে ওই প্রার্থীকে। সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকেও জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ওয়েব সাইটে তাদের আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে, তা জানিয়ে দিতে হবে এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে অন্তত তিনবার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন, আধার থেকে অযোধ্যা – সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় সম্ভবত এ সপ্তাহেই
প্রধান বিচারপতি ছাড়া এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, এ এম খানউইলকর, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং ইন্দু মালহোত্রা। যেসব আইনপ্রণেতাদের চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। আবেদনকারীদের মধ্যে ছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাবলিক ইন্টারেস্ট ফাউন্ডোশন এবং ছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। গত ২৮ অগাস্ট এ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল বেঞ্চ।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম যাদের নামে চারজশিট ফাইল করা হয়েছে তারা ভোটে না লড়ুক। আমাদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে শীর্ষ আদালত এ ব্যাপারে সংসদকে আইন প্রণয়ন করতে বলেছে।’’
শুনানি চলাকালীন এই আবেদনের বিরোধিতা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল। তিনি বলেছেন, ভারতীয় আইন অনুসারে অপরাধী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি নিরপরাধ বলেই গণ্য। একই সহ্গে তিনি বলেছেন, বিচারবিভাগ আইন প্রণয়নের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না, তা আইনসভার এক্তিয়ারভুক্ত।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে ফৌজগারি মামলায় দোষী প্রমাণিত ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।
এ বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া একটি হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছিল, দেশের মোট ১৭৬৫ জন সাংসদ বিধায়কের বিরুদ্ধে মোট ৩৮১৬টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৩০৪৫টি মামলা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও গোয়া হিসেবে ধরা ছিল না। এ ব্যাপের শীর্ষে নাম রয়েছে উত্তরপ্রদেশের, যে রাজ্যের ২৪৮ জন সাংসদ ও বিধায়কের বিরুদ্ধে মোট ৫৬৫টি মামলা রয়েছে।