সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। সাতের ঘরে বয়স এখন এই ফরাসি নাগরিকের। দীর্ঘদিন নেপালের জেলে ছিল শোভরাজ। ১৯ বছর পর নেপালের জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছে। শোভরাজের বিরুদ্ধে দুই মার্কিন মহিলাকে খুনের অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জেরেই নেপালের জেলে যেতে হয় শোভরাজকে। মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যে তাকে নেপাল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অপরাধ জগতে 'বিকিনি কিলার' এবং 'সার্পেন্ট' নামেও পরিচিত ছিল শোভরাজ। যে মহিলাদের সে খুন করেছে, তাদের প্রত্যেকেরই দেহ বিকিনি পরা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই তাকে 'বিকিনি কিলার' বলা হয়। পাশাপাশি, হাজারো ফিকিরে গ্রেফতারি এড়ানোর কারণেই তাকে 'সার্পেন্ট'ও বলা হয়। পর্যটকদের হত্যার সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার উঠেছে।
এই পর্যটকদের বেশিরভাগই আবার ইউরোপের বাসিন্দা। তারা এশিয়ায় ঘুরতে এসেই শোভরাজের খপ্পরে পড়েন। শিকারকে মাদক খাওয়ানো আর তারপর তাঁকে হত্যাই শোভরাজের খুনের কায়দা হিসেবে বারবার দেখা গিয়েছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে শোভরাজের বিরুদ্ধে প্রায় ২০ জন মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- যার দৌলতে এখন গোটা বিশ্ব থরথর করে কাঁপছে, কী এই BF.7?
ভারতেও শোভরাজ ২১ বছর জেলে কাটিয়েছে। মধ্যে একবার তিহার জেল থেকে ২২ দিনের জন্য পালিয়েছিল। কারারক্ষীকে জন্মদিনের মিষ্টি খাওয়ানোর নাম করে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে চম্পট দিয়েছিল জেল থেকে। শোভরাজের মত এমন এক অপরাধীর মুক্তির খবর পেয়ে তাই ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছদ্মবেশ ধরতে শোভরাজ বেশ পটু। বিভিন্ন ভাষায় সে কথা বলতে পারে। তাকে দেখে বেশ সজ্জন এবং উচ্চ সমাজের প্রতিনিধি বলেই যে কারও মনে হবে। আর, সেই সব কৌশলকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক অপরাধ করে গিয়েছে এই বিশ্বনিন্দিত দুষ্কৃতী। মাদক সেবন ও লেনদেনের সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে জড়িত এই সিরিয়াল কিলার। সেই কারণে, জেল থেকে ছাড়লেও শোভরাজ নেপালে থাকুক, সেটা চায় না আদালত।
Read full story in English