অর্থনৈতিক অবস্থা নয়, সামাজিক এবং শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করেছে ভারতের সংবিধান, জানালেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। সম্প্রতি সরকারি চাকরি এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নীতি চালু করেছে কেন্দ্র। সেই নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল সারা দেশ। এই পরিস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির এ হেন মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল।
সংবিধানের ৭০ বছর উদযাপন নিয়ে আইআইটি বম্বের আম্বেদকর স্মারক বক্তৃতায় ভাষণ দিচ্ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে চেলামেশ্বর। এক পড়ুয়ার প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "দেশের সংবিধান লোকসভা এবং বিধানসভাকে শুধুমাত্র সামাজিক এবং শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ক্ষমতা দিয়েছিল, আর্থিক ভাবে দুর্বলদের জন্য নয়। কেন্দ্রের বর্তমান আইন আদালতে কতদিন টিকে থাকবে, জানিনা। শুধু বলতে পারি এই প্রস্তাব সাংবিধানিক নয়"।
আরও পড়ুন, সপা-বসপা জোটে প্রিয়াঙ্কা কোনও ফ্যাক্টর নয়, বলছেন নেতারা
চলতি মাসের শুরুতেই ভারতীয় সংবিধানে ১২৪তম সংশোধনের মাধ্যমে সরকারি চাকরি এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের প্রস্তাব পাশ হয়েছে সংসদের উভয় কক্ষে। বিলকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে।
অবসর নেওয়ার পর বিচারকদের অন্য সরকারি পদের দায়িত্ব সামলানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জে চেলামেশ্বর বলেন, "আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে আমি অবসর নেওয়ার পর অন্য কোনো সরকারি পদের দায়িত্ব নিইনি। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে প্রচুর সরকারি পদে একমাত্র প্রাক্তন অথবা ক্ষমতাসীন বিচারকরাই বসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অন্য উপায় নেই"।
এক ঘণ্টার বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একাধিকবার গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সংবিধানের নানা বিধানের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এও জানান, ভারতে প্রায়শই অগ্রাহ্য করা হয় সংবিধানকে।
Read the full story in English