গো-মাংসের তরকারি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, চেন্নাই পুলিশকে ঘিরে বিতর্ক তীব্র

চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ 'অযৌক্তিক' এই পোস্ট করা হয়েছে।

চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ 'অযৌক্তিক' এই পোস্ট করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
beef curry

সোশ্যাল মিডিয়ায় গো-মাংসের তরকারির পোস্ট ঘিরে তৈরি হল তীব্র বিতর্ক। এক ব্যক্তি ওই পোস্ট করেছেন। 'নাম থামিজার পার্টি'র ওই ব্যক্তির নাম আবু বকর। তিনি গত ৬ জুলাই একটি খাবারের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে ক্যাপশন দিয়েছেন ‘বিফ কারি’। গ্রেটার চেন্নাই পুলিশকে ট্যাগ করে অন্য এক ব্যক্তি পোস্টটি রিটুইট করেন। তার প্রেক্ষিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ 'অযৌক্তিক' এই পোস্ট করা হয়েছে।

Advertisment

একথা বলার পাশাপাশি, টুইটটি মুছেও দিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। কিন্তু, কে কী খাবে না-খাবে, তা নিয়ে পুলিশ বলার কে? এরপর এই প্রশ্নে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। বিভিন্ন মহল চেন্নাই পুলিশকে মনে করিয়ে দেয় যে খাদ্য একটি মানবাধিকার। আর, কারও ব্যক্তিগত পছন্দ এবং কোনও ব্যক্তির কী খাওয়া উচিত, সেটা নির্ধারণের ক্ষমতা অন্যের নেই।

এমনকী, ডিএমকে সাংসদ ডা. সেন্থিলকুমারও প্রশ্ন তোলেন, গ্রেটার চেন্নাই পুলিশ (জিসিপি)-এর টুইটার হ্যান্ডেল কে পরিচালনা করেন। যে পোস্টকে 'অযৌক্তিক' বলা হয়েছে, তাতে কী ভুল ছিল? কী কারণে পুলিশ কী পোস্ট করবে, কী খাবে, এই অপ্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ডা. সেন্থিলকুমার। তার প্রেক্ষিতে চেন্নাই পুলিশ পোস্টটিকে 'অযৌক্তিক' বলার কারণ ব্যাখ্যা করেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- মহুয়ার কালী মন্তব্যে তোলপাড়, তারাপীঠের তারা মায়ের ভোগে কী থাকে জানেন?

তার প্রেক্ষিতে চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঠিকই বলেছে। তারা যে টুইটের কথা বলেছে, সেটা আবুবকরের ব্যক্তিগত খাবারের পছন্দ সম্পর্কে ছিল না। গ্রেটার চেন্নাই পুলিশের দাবি, তারা বোঝাতে চেয়েছে যে পোস্টটি অযৌক্তিক। কারণ, গ্রেটার চেন্নাই পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়ার পৃষ্ঠা জনসাধারণের অভিযোগ জানানোর জন্য। তার বদলে অন্য বিষয় নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে। আর, সেই কারণেই চেন্নাই পুলিশ তার আগের টুইটটিও মুছে দিয়েছে।

গ্রেটার চেন্নাই পুলিশের একজন আধিকারিক এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে পুলিশ অন্য একটি টুইটের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই টুইটায় পুলিশকে ট্যাগ করা হয়েছিল। আর, ভুলবশত, উত্তরটি আবুবকরের পোস্টে ট্যাগ করা হয়। তার ফলেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। যা এখন মিটে গেছে।

Read full story in English

kerala Tweet Beef