শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই। রাতভর একটানা বৃষ্টির জেরে শহর চেন্নাই এবং শহরতলির বেশিরভাগ এলাকায় জল জমে গিয়েছে। সাইদাপেট, ভেলাচেরি, আদমবাক্কাম, মাদিপাক্কাম এবং পশ্চিম মাম্বালামের কিছু এলাকায় রাস্তায় ২-৩ ফুট পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী সোম ও মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের।
এক রাতের বৃষ্টিতেই চেন্নাইয়ে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চেন্নাই এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরপরেই চেন্নাই, চেঙ্গালপাট্টু, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর জেলার আশেপাশের স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী দু'দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
টানা বৃষ্টির জেরে চেন্নাই শহরের বেশ কিছু সাবওয়েতেও কয়েক ফুট পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। শহর ও আশেপাশের বহু বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দুর্গত এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে অন্যত্র সরানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আপাতত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের চারটি দল জলমগ্ন এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। দুর্গত এলাকা থেকে মানুষজনকে সরানোর কাজ করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
রবিবার তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন, মুখ্যসচিব ভি ইরাই আনবু-সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেশ কয়েকটি জলমগ্ন এাকা পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জল বের করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে চেন্নাইয়ের তিনটি জলাধারের জলস্তরও বিপদসীমা ছুঁয়েছে।
আরও পড়ুন- বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে ‘বাংলার হিংসা’ প্রসঙ্গ, মোকাবিলায় কী সংকল্প নাড্ডা-শাহদের
পর্যায়ক্রমে ওই তিনটি জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এর জেরে প্রাথমিকভাবে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে চেন্নাইয়ে। জলমগ্ন এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবিরে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন চাল, দুধ এবং কম্বল বিতরণ করেছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন