/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/02/encounter-rep.jpg)
নিহত দশ জনের মধ্যে চার জনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ
দিন দুয়েক আগেই ছত্তিসগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিল ১০জন মাওবাদী। শনিবার নিহতদের দেহ আনা হল জেলা সদর দফতরে। দেহ শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা, পাঁচজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে অবুঝমাঢ়ে গ্রামের বাসিন্দারা এসে পুলিশের কাছে নিহতদের দেহ দাবি করে। দেহ ফেরাতে দেরি হওয়ায় রীতিমতো অসন্তুষ্ট হয় গ্রামবাসীরা। উচ্চপদস্থ এক পুলিশ আধিকারিক গ্রামবাসীকে জানান ময়না তদন্তের পরই দেহ ফেরত দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ছত্তিসগড়ের বিজাপুরের অবুঝমাঢ়ে মাওবাদীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে অভিযান চালায় এসটিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের জওয়ানরা। দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ১০ জন মাওবাদী। বিজাপুরের পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ জানিয়েছেন, উর্দি পরা ১০ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ১০টি রাইফেল, একটি পিস্তল এবং আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ছত্তিসগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম এত বড় অভিযান চালানো হয়েছে।
নিহত দশ জনের মধ্যে চার জনের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। এরা হল ভিজ্জা মাদভি, সুদভি ওয়াম, পরমেশ্বর বারসি এবং শান্তি ওয়াম।
আরও পড়ুন, ছত্তিসগড়ে সংঘর্ষে নিহত ১০ মাওবাদী
পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট মোহিত গার্গ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে পাইপ বোম, বিস্ফোরক পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। "ইন্দ্রাবতী নদির পাড় ধরে গ্রামবাসীরা আসছেন। আশা করছি সকালের মধ্যেই বাকিদের পরিচয় জানা যাবে"।
অবুঝমাঢ়ে জঙ্গলের ভেতরে প্রত্যন্ত এক গ্রাম। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযান চালিয়ে ফিরতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছিল ফিরতে। গার্গের কথায়, "আমরা প্রায় বছর দুয়েক পর ওই অঞ্চলে ঢুকেছিলাম। নদি পেড়িয়ে জঙ্গলের ওই প্রান্তে পৌঁছনোটাই সবচেয়ে বিপজ্জনক। সাধারণত আমরা যে রাস্তা দিয়ে অভিযান শুরু করি, সেখান দিয়ে ফিরি না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের একি পথ দিয়ে ফিরতে হয়েছিল। এতে বিপক্ষের দিক থেকে আক্রমণের সম্ভবনা বেড়ে যায়। পাকা খবর না থাকলে এত দুর্গম অঞ্চলে আমরা আসি না। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে খবর ছিল ওখানে মাওবাদীদের একটি প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে"।