মহামারীকালে গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানালেন ছত্রধর মাহাতো। বিশেষ এই আর্জি নিয়ে শুক্রবার ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। বাংলার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং ছত্রধরের শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করেই এই আবেদন বলে জানা গিয়েছে। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি।
চলতি বছর মার্চে বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার পরই লালগড়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ছত্রধরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ভোটের মধ্যে ভোররাতে আতমকা এই গ্রেফতার নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন জঙ্গলমহলের এই তৃণমূল নেতা।
ছত্রধরের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
জঙ্গলমহলে জনসাধারণের কমিটির নেতা ছিলেন ছত্রধর মাহাতো। তাঁর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সেই সময় উত্তাল হয় বাংলার পশ্চিমের জেলাগুলো। ছত্রধরের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর হয়। জেলবন্দি হলেও ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয় ছত্রধরের বিরুদ্ধেও।
এছাড়া ২০০৯ সালেই লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনের ঘটনায় ছত্রধর-সহ মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। এই মামলায় ২০১০ সালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্ত হন তিনি।
কিন্তু চলতি বছর ভোট চলাকালীন থচ্রধর মাহাতোকে ফের গ্রেফতার করে এনআইএ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রাজধানী অপহরণ মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে ফের ছত্রধরের নাম উঠে এসেছে। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যায় তৃণমূলের এই নেতা। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন