১০৬ ঘণ্টা ধরে টানটান উত্তেজনা-উৎকণ্ঠার অবসান। অবশেষে ৬০ ফুট গভীর গর্ত থেকে উদ্ধার ১০ বছরের বালক। আরও এক প্রিন্স-কাহিনী ছত্তিশগড়ের পিহৃদ গ্রামে। রাহুল সাহুকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধারকারীরে গর্ত থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। বের করে আনার মুহূর্তে গোটা গ্রাম, উদ্ধারকারীরা হাততালি দিয়ে, উল্লাসে ফেটে পড়েন।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, রাহুলের শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক আছে। গর্ত থেকে বের করে আনার সময় ওর চোখ খোলাই ছিল। গর্ত থেকে বের করে আনার জন্য পাশে একটা সুড়ঙ্গ খোঁড়েন উদ্ধারকারীরা। গর্ত থেকে বের করার সময় তাঁকে স্ট্রেচারে তুলে সোজা একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিলাসপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় রাহুলকে। তিন দিন আগেই এই গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত করে রাখা ছিল। একজন উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের মধ্যে তাঁকে দেখে রাহুল এগিয়ে আসে।
আরও পড়ুন আরও চাপে যোগী প্রশাসন, ধ্বংস হওয়া বাড়ির মালিক বিক্ষোভকারী নন, প্রকাশ নথিতে
বিলাসপুরের জেলা আধিকারিক জিতেন্দ্র শুক্লা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, রাহুলের অবস্থা স্থিতিশীল, দ্রুত সেরে উঠবে সে। বিলাসপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে বালক। এদিন, কয়েকশো উদ্ধারকারী, এনডিআরএফ টিম, সেনা, স্থানীয় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এই বিরাট উদ্ধারকাজে শামিল হয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধে থেকে চলছিল এই উদ্ধারকাজ।
গত কয়েকদিন ধরে চড়া রোদে, তীব্র গরমে উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বিজয় আগরওয়াল হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাও তাঁরা কেউ-ই হাল ছাড়েননি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। বার বার তিনি আধিকারিকদের সঙ্গে উদ্ধারকাজের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন। রাহুলের পরিবারকেও আশ্বাস দিয়ে দুশ্চিন্তা করতে বারণ করেন।