ছত্তিসগড়ের সুকমায় ভয়ঙ্কর মাওবাদী হামলায় নিহত ১৭ জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর রবিবার উদ্ধার হয় ওই ১৭ জনের দেহ। এঁদের মধ্যে ১২ জন ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডস (DRG) ও পাঁচজন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (STF) সদস্য। ছত্তিসগড় পুলিশের ডিজিপি দুর্গেশ অবস্থি জানিয়েছেন, দেহগুলি উদ্ধার করতে রবিবার সকালে পাঠানো হয় প্রায় ৫৫০ জন ডিআরজি, এসটিএফ ও কোবরা বাহিনীর সদস্যকে।
শনিবার দুপুরে ডিআরজি, এসটিএফ, এবং কোবরা ফোর্সের একটি যৌথ বাহিনীকে এলমাগুন্দায় অপারেশনে পাঠানো হয়, যেখান থেকে খবর এসেছিল নক্সালদের গতিবিধির। এলমাগুন্দা থেকে ফেরার পথে কোরাজগুড়া পাহাড়ের কাছে দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই বাহিনীর ওপর হামলা হয়। গুলি বিনিময়ের ফলে জখম হয়েছেন ১৫ জন ডিআরজি জওয়ান। ওই ১৫ জনকেও উদ্ধার করা হয়েছে। বায়ুসেনার বিমানে তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছে রায়পুরে। আপাতত তাঁরা ভর্তি রয়েছেন রায়পুরের হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুত্বর আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, মাওবাদী সংগঠন পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি ১ (PLGA 1)-এর শীর্ষনেতা হিদমার নেতৃত্বে প্রায় ২৫০ জন উগ্রপন্থী রয়েছে শনিবারের হামলার নেপথ্যে। গত দু'বছরের মধ্যে এই এলাকায় এত বড় মাওবাদী হামলা আর হয়নি বলেই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনা আবহে আতঙ্ক কার্যত গ্রাস করেছে সারা দেশকে। এই অবস্থায় মাওবাদী হামলা নতুন করে দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড় করিয়ে দিল আরও একবার।