'সাধারণ মানুষ হাইকোর্টে যেতে পারছেন না', এই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার জম্মু-কাশ্মীরে যেতে পারেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই সেখানে যেতে পারেন দেশের প্রধান বিচারপতি, এমনটাই খবর। এদিন রঞ্জন গগৈ বলেন, "এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় যে সাধারণ মানুষ হাইকোর্টের কাছে আবেদন করতে পারছেন না। প্রয়োজনে আমি নিজেই সেখানে যাব।"
জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ তকমা' প্রত্যাহার করে তাদের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে দু'ভাগে বিভক্ত করার পর থেকেই সেখানে কেন্দ্র বাহিনীর প্রবল উপস্থিতি চোখে পড়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। এদিকে জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টে সাধারন বিচারপ্রার্থী মানুষ তথা মামলাকারীরা পৌঁছতে পারছেন কি না, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ একটি রিপোর্ট বলেন, আবেদনকারীদের অভিযোগ যদি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রিপোর্টের পরিপন্থী হলে সেক্ষেত্রে আবেদনকারীদে্র বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে দেখা করতে চান মমতা, কাল দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, শিশু অধিকার কর্মী এণাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে এই মুহুর্তে জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টে যাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেই রঞ্জন গগৈয়ের এমন সিদ্ধান্ত। ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পরই ৩৭০ ধারা রদের বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে।
উল্লেখ্য, নিজের পরিবারের এবং পরিজনদের খবর নেওয়ার জন্য এর আগে বর্ষীয়াণ কংগ্রেস নেতা গুলামনবি আজাদকে শ্রীনগর, অনন্তনাগ এবং জম্মু জেলায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। রাজ্যসভার সাংসদ এবং এমডিএমকে-এর সাধারণ সম্পাদক ভাইকো জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার মুক্তির দাবিতে আবেদন করেন সোমবার। এই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এসএ বোবদে ও এসএ নাজিরের বেঞ্চে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে আটক করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সোমবার কেন্দ্র এবং জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিসও দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
Read the full story in English