রাজধানীতে লঙ্কাকাণ্ড! মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সচিবালয়ে ঢুকেছিলেন অভিযুক্ত

এক সাংবাদিক অনিল শর্মাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি বিজেপির সদস্য কিনা। উত্তরে সরাসরি কিছু না বলে শর্মা বলেন, "বিজেপি-ই একমাত্র দেশপ্রেমী দল"।

এক সাংবাদিক অনিল শর্মাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি বিজেপির সদস্য কিনা। উত্তরে সরাসরি কিছু না বলে শর্মা বলেন, "বিজেপি-ই একমাত্র দেশপ্রেমী দল"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

৪১ বছরের অনিল কুমার শর্মাই লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে মারেন কেজরিওয়ালকে লক্ষ করে

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে লক্ষ করে লঙ্কার গুঁড়ো ছোড়া ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৪১ বছরের অনিল কুমার শর্মা পুলিশকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাজ নিয়ে খুশি নন তিনি। দিল্লি সরকার কোনো অভিযোগ না জানালেও পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।

Advertisment

অনিল শর্মাকে প্রথমে সেক্রেটারিয়াটেই আটক করেছিল পুলিশ। 'বন্দে মাতরম', 'ভারতমাতা কি জয়' স্লোগান তুলে সেখানে নিজের বিবৃতি বারবার পাল্টে ফেলছিলেন শর্মা। পরে তাকে আইপি এস্টেট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের কাজ নিয়ে তিনি খুশি নন।

আগেই এক সাংবাদিক অনিল শর্মাকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি বিজেপির সদস্য কিনা। উত্তরে সরাসরি কিছু না বলে শর্মা বলেন, "বিজেপি-ই একমাত্র দেশপ্রেমী দল"। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে 'বিশ্বাসঘাতক' আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, "একজন সত্যিকারের দেশভক্ত যে হেরে যায় না, তা প্রমাণ করতেই সেক্রেটারিয়াটে এসেছিলাম আমি"। অনিল শর্মা পুলিশকে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি উপ মুখ্যমন্ত্রী মনিষ সিসোদিয়াও তার প্রাথমিক লক্ষ ছিল। "এবার আমাকে কেউ গুলি করে মেরে ফেললেও কিছু যায় আসে না", পুলিশকে জানিয়েছেন অনিল কুমার।

Advertisment

অনিল কুমারের বয়ান অনুযায়ী, সদ্য নারাইনা থেকে ঠিকানা বদলে রাজৌরি গার্ডেনে গিয়েছেন তিনি। কাজ করেন এক বেসরকারি সংস্থার স্টোর ম্যানেজার হিসেবে। স্ত্রী এবং মেয়ে উত্তরপ্রদেশের গ্রামে থাকেন। যক্ষ্মায় আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য কিছু সাহায্য প্রার্থনা করতে গিয়েই সপ্তাহ খানেক আগে এক আপ সদস্যের সঙ্গে পরিচয় হয় অনিলের। আপ সদস্যের পরিচয় দিয়েই সেক্রেটারিয়াটে প্রবেশ করেছিলেন মঙ্গলবার। মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু নথি দেখার পর রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে মাকে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে। এরপরেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তিনতলায় যান তিনি।

দিল্লির সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা?

সাধারণত প্রবেশ করতে হলে অনুমতিপত্র লাগে। আগে থেকে জানানো থাকলে তবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। রিসেপশনে যিনি সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইছেন, তাঁর পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে একবার সেক্রেটারিয়াটের ভেতর ঢুকে গেলে নির্দিষ্ট দফতরেই যাচ্ছেন কিনা, তা যাচাই করার ব্যবস্থা নেই।

Read the full story in English