তাইওয়ানে ফের মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফর। জানতে পেরেই নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা করল চিন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধির সফর নিতান্তই বিরল ঘটনা। কিন্তু, তাইওয়ানের পরিস্থিতিটা আলাদা। সেখানে গণতন্ত্র বিপন্ন। চিন অনেকদিন আগে থেকে তাইওয়ানকে তাদের এলাকা বলে দাবি করে যাচ্ছে।
সেই কারণে তাইওয়ানবাসীকে আশ্বস্ত করতে সেখানে সফর করেছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। কিন্তু, পেলোসির সফরে চিন আপত্তি জানিয়েছিল। সেই বারণ অবশ্য শোনেননি পেলোসি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তারা। পেলোসি তাইওয়ানে গিয়েছিলেন। সেখানকার বাসিন্দাদের গণতন্ত্রের ইস্যুতে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।
আর, পেলোসির সফর শেষ হতেই তাইওয়ানে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিন। তাইওয়ানকে চারপাশ থেকে ঘিরে চিনের সেনাবাহিনী সামরিক মহড়া শুরু করে। তাইওয়ানের আকাশসীমা, জলসীমা এবং স্থলসীমা কোনও কিছুই চিন মানেনি। ইচ্ছেমতো চার দিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, গুলিবর্ষণ করেছে। সেই পরিস্থিতি দেখেছে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন- পাহারায় ১,০০০ সশস্ত্র পুলিসকর্মী, প্রথমবার জাতীয় পতাকা উঠল ইদগাহ ময়দানে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের মত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চিনের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে। তার পরই সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে তাইওয়ান সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। এই দলে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা রয়েছেন। এই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সোমবারই সাক্ষাত করেছেন। সেকথা জানতে পারার পরই নতুন করে সামরিক মহড়ার ঘোষণা করেছে চিন। এই নতুন সামরিক মহড়ার কথা জানিয়েছেন, চিনের প্রতিরক্ষা দফতর এবং লালফৌজের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বারবার জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাইওয়ানের গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাইওয়ানের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু, তারপরও চিন জানিয়ে দিয়েছে, তারা প্রয়োজন মনে করলে তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাবে। তাইওয়ান দখল করে নেবে। এর আগের বার সামরিক মহড়া ছিল চিনের সেই চেষ্টারই অঙ্গ। অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন খোদ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। চিনের সামরিক মহড়ার পর তাইওয়ানও ইতিমধ্যে স্বাধীনতার স্বার্থে নিজেদের সামরিক শক্তি গুছিয়ে নিতে চাইছে।
Read full story in English