করোনা ভাইরাসের সর্তকবার্তা দেওয়ার পর তাঁকে গ্রেফতার করার হুমকিও দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
করোনা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই কথা শোনেনি চিন সরকার। উপরন্তু ধমকের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয় এই চিকিৎসকের। চিনের শাসক দলের উচ্চপদস্থ কর্মীরা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই উহানের পুলিশ ফোর্স ডা: লি ওয়েনলিয়াং এবং পরিবারের উপর থেকে তাঁদের হুমকি বার্তা প্রত্যাহার করেছে। প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের সর্তকবার্তা দেওয়ার পর ডা: লি ওয়েনলিয়াংকে গ্রেফতার করার হুমকি দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।
জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই লি-এর পরিবারের কাছে 'আন্তরিক ক্ষমা চেয়েছে' পুলিশ। দু'জন পুলিশ অফিসারকে শনাক্ত করা হয়েছে তাঁদের পদবি দ্বারা। তাঁদের বিরুদ্ধে 'শাস্তির' নিদানও দেওয়া হয়েছে। ডা: লি ওয়েনলিয়াংয়ের মতো করোনা সতর্কবার্তা দেওয়ায় শাস্তির মুখে পড়েছিল চিনের এক সাংবাদিকও। চেন চিউশি এবং ফাং বিন তাঁরা নিজেদের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে বার্তা দেন। এরপরই দুজনের একজন নিখোঁজ হয়ে যান।
Advertisment
উল্লেখ্য, সতর্কবার্তার পরই ক্রমশই মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে শুরু করে চিনে। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে আক্রান্ত এবং মৃত্যুসংখ্যা। 'বন্দি' করা হয় উহানকে। প্রসঙ্গত, সোশাল মিডিয়ায় বন্ধুদের করোনার বিষয়ে সতর্ক করার জন্য ডিসেম্বর মাসে লি-সহ আটজন চিকিৎসককে তিরস্কারও করেছিল চিনের পুলিশ। পরে চিনের সুপ্রিম কোর্ট পুলিশের এই কাজ নিয়ে সমালোচনা করলেও সরকারের থাকা ক্ষমতাসীন দল বাধ্য করেছে তাঁদের ক্ষমতা দিয়ে এই করোনাভাইরাসের দাপটের খবর লুকিয়ে রাখতে, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এমনকী প্রতিটি ঘটনার পর আধিকারিকেরা চেষ্টা করে গিয়েছিলেন খবর ধামাচাপা দেওয়ার। মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করারও চেষ্টা চালানো হয়। এছাড়াও বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। যদিও সরকারের তরফে বলা হয়েছে করোনা গুজব ছড়ানো বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।