বুধি গন্ধকী নামে নেপালের একটি বাঁধ ঘিরে ভারত ও নেপালের আর্ন্তজাতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ভারত এবং নেপালের মধ্যে সৌহার্দ্য সুপ্রাচীন। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক কারণে দু'দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আজ নরেন্দ্র মোদী নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে পি অলিকে বলেন আপনারা চীনকে দিয়ে যত ইচ্ছে প্রকল্প করাতে পারেন, কিন্তু সেক্ষেত্রে ভারত আর আপনাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনতে সক্ষম হবেনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই কড়া বার্তাটি দিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর তিন দিনের ভারত সফর চলাকালীন। প্রসঙ্গত, নেপালের বিগত প্রধানমন্ত্রী এবং মাওবাদী নেতা পুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচন্ড চিনের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বুধি গন্ধকী বাঁধ প্রকল্পটি গড়ে তোলার ভার চিনের গেঝোবা গ্রুপকে প্রদান করেন। কিন্তু চুক্তিটি হবার ঠিক একমাসের মাথায় প্রচন্ডকে বিপুল ভোটে হারিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন নেপালের কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেবুয়া। ঠিক তারপরই নেপাল "অযৌক্তিক এবং হঠকারী" আখ্যা দিয়ে চুক্তিটি নাকচ করে দেয়।
চুক্তিটি নাকচ হবার পর সেদেশে গুজব রটে ভারতের চোখরাঙানির দরুন দেবুয়া এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
কিন্তু গত মাসে অলি চিনের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "বিপক্ষ কোন কোম্পানীর অহঙ্কার বা চাপের দরুন হয়ত বাঁধ প্রকল্পটি নাকচ করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু হাইড্রো বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা যেহেতু আমাদের অন্যতম লক্ষ্য, তাই বুধি গন্ধকী প্রকল্পটি আমরা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
অলির মতে, অবিলম্বে ভারত থেকে আমদানি করা উচ্চমূল্যের খনিজ বিকল্প হিসাবে নেপালের প্রয়োজন একটি হাইড্রো বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলা। কারণ বিগত পাঁচ বছরে নেপালের খনিজ তেলের ব্যয় ক্রমশ আকাশ ছুঁয়েছে।
ভারতীয় মন্ত্রক জানিয়েছেন নেপালের ৫৩ জন সরকারী প্রতিনিধিদের সাদরে আমন্ত্রন করা হলেও বিদ্যুৎ এবং সুরক্ষা জাতীয় বিষয়ে কড়া মনোভাব নেওয়া হবে।