করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা হয়েছে, এবং এই মহামারীর সম্পূর্ণ চিত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহলের এই অভিযোগ খণ্ডন করল চিন।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র স্বীকার করেছেন যে, পিটিআই যেমন জানিয়েছিল, ভাইরাস অতিরিক্ত দ্রুতগতিতে ছড়ানোর ফলে প্রথমদিকে সঠিক গণনা করা যায় নি, যার ফলে শুক্রবার করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয় চিন। তবে ওই মুখপাত্র আরও বলেন যে "কখনোই কোনোরকম গোপনীয়তা ছিল না, এবং আমরা গোপনীয়তা আসতে দেবও না"।
এদিন উহান শহরে পুরসভার সদর দফতর থেকে জানানো হয়, শহরে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪,৬৩২। এই সংখ্যাই এর আগে ছিল ৩,৮৬৯। এছাড়াও সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৮২,৬৯২। পাশাপাশি ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত উহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৫ যোগ হয়ে দাঁড়ায় ৫০,৩৩৩, এবং মৃতের সংখ্যা ১,২৯০ যোগ হয়ে দাঁড়ায় ৩,৮৬৯।
আরও পড়ুন: সুখবর, গত পাঁচ দিনে ভারতে রেকর্ড কমল করোনা সংক্রমণের হার
একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে উহান পুরসভার সদর দফতরের পক্ষে বলা হয়েছে, পরিসংখ্যানে এই পরিবর্তন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট আইন ও নিয়ম মেনে, এবং ইতিহাস, জনসাধারণ, ও মৃতদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে।
করোনাভাইরাসের পরিসংখ্যান কেন পরিবর্তন করা হলো, তা বিশদে বুঝিয়ে উহান পুরসভা বলেছে যে শহরে COVID-19 মহামারীর প্রকোপ সংক্রান্ত তথ্য স্বচ্ছ ও অবাধ হোক, এবং সঠিক হোক। তথ্যে নানারকম অসঙ্গতির কারণ দেখাতে গিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথম ধাপে অতি দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিষেবার ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে মারা যান বেশ কিছু রোগী।
অন্যদিকে, একাধিক রোগীর সম্পর্কে নথিভুক্ত তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল, এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের সময় বেশ কিছু ভুলত্রুটি হয়েছিল বলে জানিয়েছে উহান প্রশাসন।
উহান পুরসভার সদর দফতরের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে যে মার্চ মাসের শেষদিকে মহামারী সংক্রান্ত বিপুল তথ্যের পরিমাণ সামলাতে এবং মহামারী সংক্রান্ত তদন্তের খাতিরে গঠিত হয় একটি বিশেষ দল। ওই আধিকারিক বলেন, "মহামারীর তথ্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য, এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন