Advertisment

করোনাভাইরাসে মৃত বেড়ে ৩৬১, রেকর্ড সময়ে হাসপাতাল গড়ল চিন

করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপে চিনে মৃতের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩৬১, যাঁদের মধ্যে স্রেফ রবিবারেই মৃত্যু হয় ৫৭ জন রুগীর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
coronavirus news

দিল্লি বিমানবন্দরে চিন থেকে আসা ভারতীয়দের জন্য অপেক্ষায় চিকিৎসা কর্মীরা। ফাইল ছবি

মধ্য চিনের হুবাই প্রদেশের উহান শহর, যেখান থেকে উৎপত্তি করোনাভাইরাসের, সেখানে গোটা একটা নতুন হাসপাতাল গড়ে ফেলেছে চিন। অস্থায়ী এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে হুয়োশেনশান ('অগ্নিদেবের পাহাড়') হাসপাতাল, এবং রবিবারই এর দরজা খুলে দেওয়া হয়। আপাতত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদেরই চিকিৎসা হবে এই হাসপাতালে, জানিয়েছে চিনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া। হাজার বেডের এই হাসপাতাল তৈরি করতে সময় কত লেগেছে? দশ দিন, যা সম্ভবত নতুন রেকর্ড।

Advertisment

হাসপাতাল নির্মাণ করেছে যে দল, তার নেতৃত্বে থাকা ফ্যাং শিয়াং শিনহুয়াকে বলেন, "এই আয়তনের প্রজেক্ট শেষ হতে সাধারণত সময় লাগে অন্তত দু'বছর। অস্থায়ী একটি বাড়ি তৈরি করতেই লাগে মাসখানেক, ছোঁয়াচে রোগের হাসপাতালের কথা তো ছেড়েই দিন।"

শিনহুয়া আরও জানিয়েছে, ২,৩০০ টি বেড-বিশিষ্ট আরও একটি অস্থায়ী হাসপাতাল বুধবার খোলা হবে এই নতুন হাসপাতালের পাশেই। অন্যদিকে আজ, সোমবার থেকে হুয়োশেনশান হাসপাতালে কাজে লেগে যাবেন সেনাবাহিনী থেকে ধার নেওয়া ১,৪০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জয়েন্ট লজিস্টিক সাপোর্ট ফোর্স থেকে আসা ৯৫০ জন কর্মী, এবং পিএলএ-র সেনা, বায়ুসেনা, এবং নৌসেনার মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ৪৫০ জন, যাঁদের এর আগেই উহান পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাস মহামারীর প্রকোপে চিনে মৃতের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩৬১, যাঁদের মধ্যে স্রেফ রবিবারেই মৃত্যু হয় ৫৭ জন রুগীর। সোমবার চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ঘোষণা করেন, এখন পর্যন্ত সে দেশে নিশ্চিতভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,২০৫ জন।

সোমবার তাদের দৈনিক রিপোর্টে চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায় যে ২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশ থেকে খবর আসে ২,৮২৯ টি নতুন সংক্রমণের, যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ১৭,২০৫। কমিশনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করেই শিনহুয়া জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা এই মুহূর্তে ৩৬১।

রবিবারে মৃত ৫৭ জনের মধ্যে ৫৬ জনই ছিলেন মহামারীর কেন্দ্রস্থলে থাকা হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা, এবং একজন ছিলেন দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের চংকিংয়ের বাসিন্দা। কমিশন আরও জানিয়েছে, রবিবার ৫,১৭৩ টি সন্দেহজনক নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও রবিবার গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৮৬ জন রুগী, এদিকে রোগমুক্তির পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ১৪৭ জন।

কমিশন জানিয়েছে, মোট ২,২৯৬ জন রুগী এখনও গুরুতরভাবে অসুস্থ, এবং ২১,৫৫৮ জন এখনও সম্ভাব্য আক্রান্ত হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। সেরে উঠে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মোট ৪৭৫ জন। তাঁদের ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন ঘনিষ্ঠের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ১০,০৫৫ জনকে রবিবার মেডিক্যাল নজরদারি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাকিরা এখনও নজরদারিতে রয়েছেন।

অন্যদিকে, রবিবার রাত পর্যন্ত হংকং থেকে ১৫টি সংক্রমণের খবর এসেছে, আটটির খবর এসেছে চিনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ম্যাকাউ থেকে, এবং ১০টি তাইওয়ান থেকে।

Advertisment