করোনা মোকাবিলা করতে যে কিট ছিল ভরসা, চিন থেকে আমদানি করা সেই কিটে ত্রুটি বেরোতেই কিটের বরাত বাতিল করল মোদী সরকার। যা বর্তমানে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনের। তবে এরই মধ্যে অন্য সুর তুলল চিন। তাঁরা জানিয়েছে চিনের পণ্যগুলিকে অনেকেই 'ত্রুটিযুক্ত' এই লেবেল লাগিয়ে দিচ্ছে, যা অন্যায়।
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে পাঠানো টেস্ট কিটগুলি চিনের দুটি কোম্পানি গুয়াংঝাউ ওয়ান্ডফো বায়োটেক ও ঝুহাইইয়ের লিভজন ডায়াগনস্টিক্স তৈরি করে। সেগুলিতেই গাফিলতি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। বিভিন্ন রাজ্য থেকে রিপোর্ট মেলায় আগেই ওই দুটি কোম্পানির পাঠানো টেস্ট কিট ব্যবহার না করার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
চিনের দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, "আমরা র্যাপিড কিটের মূল্যায়নের ফলাফল এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চিন রফতানি হওয়া মেডিকেল পণ্যের মানকে সবসময়ই গুরুত্ব দেয়।" তবে মঙ্গলবার জি রং-এর গলায় ছিল দোষারোপের সুরও। তিনি বলেন, "অনেকেই চিনের দ্রব্য বলে সেখানে ত্রুটি রয়েছে এমনভাবে দাগিয়ে দিচ্ছে যা অন্যায় এবং অনুচিত।" যদিও কোনও নামোল্লেখ করেননি জি।
এদিকে আইসিএমআর-এর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আর কোনও পয়সা দেওয়া হবে না। ভারত সরকার এক টাকাও নষ্ট করবে না এখন। প্রসঙ্গত, কিটের দাম ও বাতিল কিটের জন্য সরকারের খরচ ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মোদী সরকার জানিয়েছে যে, চিনের করোনা পরীক্ষার কিটের জন্য এখনও কোনও অর্থ দেওয়া হয়নি। ফলে সরকারের অর্থ নষ্টের কোনও কারণ নেই। এদিকে কিটের দাম নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামনায় জানা যায় যে, ভারত সরকারকে প্রতিটি কিট ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছে চিনের সংস্থাগুলো। কিন্তু, সেগুলির দাম আসলে ২৫০ টাকা করে। উপরোন্তু সেগুলিতে খুঁত রয়েছে। ফলে কিটের বরাত বাতিলের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। মানের সঙ্গে আপোস করা হবে না বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন