বরফ তো গলেই নি, উল্টে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আরও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে। দু-দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া আরও বাড়িয়েছে বেজিং। এদিন সীমান্ত সংঘাত ও চিনের এই সমস্ত উসকানি নিয়েই ফের সরব হলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
জুনের গালওয়ানে সেনা সংঘর্ষের পর কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে একাধিকবার বৈঠকে হয়েছে ভারত ও চিনের। কিন্তুঅধরা সমাধান সূত্রে। বৈঠকে শান্তি ফেরানো ও সেনা সরানোয় সহমত হলেও বাস্তবে বারংবার সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বেজিংকে। যাতে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।
লাদাখ, অরুণাচল, তিব্বত সহ একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকায় রোজই হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে চিন। মজুত করা হয়েছে সমরাস্ত্রও। আর তাতেই উদ্বেগ বাড়ছে। একথা মনে করেই দিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কার্যত পাঁচ রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছে চিন।
যাতে সমাধানের রাস্তা খুঁজতে গিয়ে আরও বাড়ছে সমস্যা। অন্যদিকে একাধিকবার পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখা সন্নিহিত এলাকা থেকে একাধিক বার দুই দেশের তরফে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হলেও চিনের উসকানিতেই তা বারংবার ভেস্তে যায়। এদিন অস্ট্রেলিয়ার লোই ইনস্টিটিউটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না করেই সীমান্ত সমস্যা ও চিনা আগ্রাসন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর।
বেজিংয়ের কূটনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কড়া সমালোচনা করে জয়শংকর বলেন, 'ওরা কোনও চুক্তিই মানছে না। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কোনও বড় বিষয় না। কিন্তু আলোচনা করে সমাধানের রাস্তা বেরলেও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করে চলেছে চিন। সর্বদাই যুদ্ধের মেজাজে রয়েছেন শি জিনপিং। তাই বিগত ৩০-৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েই চিনের সঙ্গে ভারতেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ পর্ব চলছে বলাই যাই।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন