সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমণের লক্ষণ? সেনা সূত্রে খবর, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে অংশে সেনা ও সমরাস্ত্র মজুত করেছিল ভারত ও চিন, তা ক্রমেই প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হল। গালওয়ান ও লাদাখের হট স্প্রিং অঞ্চলের একাধিক এলাকা থেকেই বাহিনী প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। তবে, সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সরকারিস্তরে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সব পরিস্থিতির নজরবন্দি রয়েছে, আগামী কয়েকদিন তা আরও দৃঢ় হবে।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে কেন্দ্র করে ভারত-চিন দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত দেড় মাসে গালওয়ান, প্যাংগং সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা বরাবর চিন সেনা ও সমরাস্ত্র মজুত বাড়ানোয় তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পাল্টা ভারতও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সৈন্য় ও যুদ্ধাস্ত্র মজুত করে। দিন কয়েক আগে যুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপরই উত্তেজনা প্রশমণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত শনিবার ভারত-চিন সেনা কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হয়। উভয় দেশই শান্তিপূর্ণ পথে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানো পক্ষে। তারপরই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। গালওয়ান ও লাদাখের হট স্প্রিং অঞ্চলের একাধিক এলাকা থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করেছে ভারত-চিন। আজ ফের দুই দেশের ডিভিশনাল কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা হবে।
* উত্তর সিকিম থেকে পূর্ব লাদাখ পর্যন্ত কয়েকটি জায়গায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ চিনা সেনার বিরুদ্ধে।
* গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেক-সহ একাধিক এলাকায় মুখোমুখি ভারত ও চিন সেনা সমাবেশ ।
* ভারতও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা ও সমরাস্ত্র মজুত বাড়ায়। তৈরি হয় যুদ্ধের পরিস্থিতি।
* প্রকৃত নিযন্ত্রণক রেখায় ইন্দো-চিন উত্তেজনা প্রশমণে সক্রিয় হয় দু’দেশ ।
* কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি গত শনিবার উভয় দেশের সেনার কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়।
* দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে ‘শান্তিপূর্ণ পথে’ ভারত-চিন সীমান্ত উত্তেজনার সমাধানে সম্মত দুই ভারত-চিন।
এরপরই গালওয়ান উপত্যকা সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যেসব অঞ্চলে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেগুলির প্রায় অধিকাংশ থেকেই ফেরানোর শুরু হয়েছে। ভারত এবং চিন, দু’পক্ষের সেনাবাহিনীই কয়েক কিলোমিটার করে পিছিয়ে গিয়েছে। যা উত্তেজনা প্রশমণের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে সাউথ ব্লক আগেই জানিয়েছিল, এই আলোচনায় অবিলম্বে কোনও ফলাফল আসা করা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতের জন্য সেনা ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা প্রক্রিয়া জারি রাখা প্রয়োজন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
দিনের সব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় খবরগুলি পড়ুন এই প্রতিবেদনে