Advertisment

অস্থির পড়শি, অমীমাংসিত সীমান্তে প্রভাবিত দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: বায়ুসেনা প্রধান

IAF Chief: এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি বলেন, 'আকাশপথে সক্ষমতা বাড়াতে চিন এবং পাকিস্তান, দুই দেশ ভারতের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
IAF Chief, China-Pakistan, Border Dispute

ভারতের বায়ুসেনা প্রধান।

IAF Chief: ভারতের কৌশলগত লক্ষ্যপূরণে বড় অন্তরায় চিন। বুধবার এই দাবি করেছে বায়ুসেনা প্রধান। এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি বলেন, 'আকাশপথে সক্ষমতা বাড়াতে চিন এবং পাকিস্তান, দুই দেশ ভারতের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় পরিকাঠামো বাড়াচ্ছে।‘

Advertisment

এক সেমিনারে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অস্থির এবং পড়শি এবং অমীমাংসিত সীমান্ত দিয়ে প্রভাবিত। ভবিষ্যতে যা সংঘাতের কারণ হতে পারে।‘

এদিকে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল হয় ৩৭০ ধারা। কেন্দ্র ঘোষণা করে যে, উপত্যাকাকে দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হবে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য, যা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছে উপলব্ধ, সেখানে উল্লেখ যে- ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতি মাসে গড়ে উপত্যাকায় ৩.২ জনের প্রাণহানী ঘটে। তুলনায় এর পাঁচ বছরের আগের পরিসংখ্যান অনুসারে সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রতি মাসে গড়ে ২.৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই ক্ষেত্রে সেনাকর্মীর হত্যার ঘটনা যথাক্রমে প্রতি মাসের ১.৭ জন ও ২.৮ জন।

২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৯-য়ের ৫ আগস্ট- এই ৬৩ মাসে জম্মু-কাশ্মীরে ১৭৭ জন অসামরিক ব্যক্তির প্রাণ গিয়েছিল। ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর ২৭ মাসে (চলতি বছর নভেম্বর পর্যন্ত) ৮৭ জন অসামরিক ব্যক্তির প্রাণহানী ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের বেশি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে উল্লেখ, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ২৫৫টি সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। ২০২০ সালে হয়েছে ২৪৪টি। আর চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত জঙ্গি হামলার পরিসংখ্যান ২০০ পার করে গিয়েছে।

রাজ্যসভায় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রেকর প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ১লা ডিসেম্বরের দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ, উপত্যাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা কমছে। কিন্তু, জম্মু-কাশ্মীরে ক্রমশ অসামরিক ব্যক্তিদের উপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। হামলার শিকার বিশেষ করে সংখ্যালঘু (হিন্দু পণ্ডিত, শিখ) ও পরিযায়ী শ্রমিকরা। ফলে প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দাবি, এঅই ধরণের হামলা বৃদ্ধির পরই তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বেসামরিক হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ‘এনকাউন্টারের সাফল্যের জন্য ইন্টালিজেন্স ব্যুরো ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ভূমিকা অনবদ্য। এছাড়া হামলা ও গুপ্তহত্যা রোধেও সাফল্য মিলছে।’ এক নিরাপত্তা আধিকারিকের দাবি, ‘পুরো বিষয়টি সীমান্তের ওপার থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। আসলে উপত্যকায় কোনও এক জন কমান্ডার অপারেশন পরিচালনা করছে না…।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

pakistan china Border Dispute IAF Chief
Advertisment