লাদাখে ফের চিনা স্থাপত্য ঘিরে বিতর্ক। প্যাংগং হ্রদের কাছে যে নতুন সেতুর হদিশ মিলেছে সেই জায়গাটা কয়েক দশক ধরে চিনের অধিকৃত বলে দাবি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ব্রিজটি ভারতের দাবি করা অঞ্চলের মধ্যে পড়লেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ২০ কিমি পূর্ব দিকে অবস্থিত।
বাগচির দাবি, আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর পেয়েছি ওই নির্মীয়মাণ সেতু সম্পর্কে। সেটা নতুন কোনও নির্মাণ কি না সেটা জানি না। কেউ কেউ বলছেন, এটা নতুন সেকু বা আগের সেতুটিরই সম্প্রসারিত অংশ। তিনি আরও বলেছেন, আমরা কয়েক দশক ধরে ওই এলাকাটিকে অধিকৃত অঞ্চল হিসাবে জানি। সামরিক প্রেক্ষিত থেকে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারব না। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে বলার জন্য। এবং ওই সেতুর বিষয়টি কী করা হবে সেটাও তারা ভাল বলতে পারবেন। তবে আমরা এই বিষয়টি নজরে রেখেছি।
তবে শীর্ষ সেনা আধিকারিকের দাবি, এটি দ্বিতীয় সেতু। আর আগেরটি এবছরই তৈরি করেছে চিন। এবার আরও একটা তৈরি করছে। কয়েক মাস ধরে কাজ চলছে। এক সিনিয়র প্রতিরক্ষা আধিকারিক বলেছেন, প্রথমে মনে হয়েছিল চিন কোনও অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করছে যাতে আগের ব্রিজের কাজে লাগে। কিন্তু এখনও ব্যাপারটা তা নয়। এটা স্থায়ী সেতু। বরং প্রথমটি তৈরি করা হয়েছিল এটি তৈরির সময়ে সহায়তার জন্য।
আরও পড়ুন ২০১৯ ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা: দোষীদের মারতেই গুলি চালিয়েছিল পুলিশ, রিপোর্ট কমিশনের
প্যাংগং হ্রদের উত্তর দিকে ফিঙ্গার পয়েন্ট ৮ থেকে ২০ কিমি পূর্বে এই সেতু তৈরি হচ্ছে। সেখান দিয়েই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা গিয়েছে ভারতের দাবি অনুযায়ী। তবে রাস্তা ধরে গেলে ফিঙ্গার ৮ থেকে এটা ৩৫ কিমি দূরে। এই অঞ্চলটি ১৯৫৮ সাল থেকে চিনা দখলে। যদিও এটি ভারতীয় দাবিকৃত অঞ্চলের সামান্য পশ্চিমে। আন্তর্জাতিক সীমানায়।