অলিম্পিকের আসরেও গালওয়ানকে টেনে আনল চিন। খেলাধূলার দুনিয়ায় যুগ যুগ ধরে অলিম্পিক বিশ্বের ক্রীড়াক্ষেত্রের শীর্ষ আসর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যাকে রাজনীতির ছোঁয়া থেকে বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছে বারবার। কিন্তু, চিন সেই রীতি ভাঙল। এবারের শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসেছে চিনে। অলিম্পিকের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তার মশাল দৌড়। বিশেষ করে আয়োজক দেশের মশাল দৌড়ের দিকে নজর থাকে গোটা বিশ্বের। দেশের সেরা ক্রীড়াবিদরা সেই দৌড়ে অলিম্পিকের মশাল বহন করেন।
সেখানে চিনের হয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত বহন করল গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন লাল ফৌজের জওয়ান। গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির রেজিমেন্ট কমান্ডার ছিলেন চি ফাবাও। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় সেনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল চিনের সেনা। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের প্রতিরোধ করেছিল। চিনের সেনাকে হারতে হয়েছিল। সেই লড়াইয়ে জখম হয়েছিল লালফৌজের কমান্ডার চি ফাবাও। তার হাতেই এবারের শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল তুলে দিল চিন।
স্বভাবত এনিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু, তারপরও রীতিমতো নির্বিকার চিন জানিয়েছে, এতে অলিম্পিকের মশাল দৌড়ের মর্যাদার কোনও হানি ঘটেনি। বরং, 'মান' রক্ষা হয়েছে। পাশাপাশি, বাকি বিশ্বকে রীতিমতো উপদেশ দেওয়ার সুরে চিন বলেছে, গোটা বিষয়টিকে 'বস্তুনিষ্ঠ' ভাবে দেখা উচিত এবং 'যুক্তি' দিয়ে ভাবা উচিত। চিনের এই প্ররোচনামূলক আচরণ নতুন না। তাতে তিতিবিরক্ত ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছে এবারের শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেবে না। তবে, চিন যে এতটা নিন্দনীয় আচরণ করবে, খেলার মধ্যে রাষ্ট্রের পারস্পরিক ঝগড়াকে টেনে এনে খেলার মানকে কলুষিত করবে, তা আশা করেনি নয়াদিল্লিও।
চিন ফাবাওকে দিয়ে মশাল দৌড় করানোয় তাই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিষয়টিকে 'দুঃখজনক' বলে জানিয়েছেন। শুধু ভারতই না। চিনের এই আচরণে ক্ষুব্ধ অন্যান্য দেশগুলোও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি গালওয়ানে আহত জওয়ানকে দিয়ে মশাল দৌড় করানোয় চিনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিষয়টিকে 'লজ্জাজনক' এবং 'ইচ্ছাকৃতভাবে প্ররোচনা' দেওয়ার ঘটনা বলেই জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথমসারির সদস্য সেনেটর জিম রিশ এই প্রসঙ্গে ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমেরিকা বরাবর ভারতের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করেছে এবং করবে।
সাফাই দেওয়ার চেষ্টায় অবশ্য কসুর করেনি চিন। চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, 'আমি জোর দিতে (দিয়ে বলতে) চাই যে বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল বাহকরা সম্পূর্ণরূপেই প্রতিনিধি ( যোগ্য প্রতিনিধি) এবং তারা যোগ্যতামান পূরণ করেছেন। আমরা আশা করব যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিষয় এবং যুক্তির আলোয় এটি দেখবেন'। সাংবাদিকরা চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে পালটা জানতে চান, এতে কি ভারতের স্পর্শকাতর দিকটিকে উপেক্ষা করা হয়নি? জবাবে ঝাও-এর সাফাই, 'একে খুব বেশি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন না'।
স্বভাবত এনিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু, তারপরও রীতিমতো নির্বিকার চিন জানিয়েছে, এতে অলিম্পিকের মশাল দৌড়ের মর্যাদার কোনও হানি ঘটেনি। বরং, 'মান' রক্ষা হয়েছে। পাশাপাশি, বাকি বিশ্বকে রীতিমতো উপদেশ দেওয়ার সুরে চিন বলেছে, গোটা বিষয়টিকে 'বস্তুনিষ্ঠ' ভাবে দেখা উচিত এবং 'যুক্তি' দিয়ে ভাবা উচিত। চিনের এই প্ররোচনামূলক আচরণ নতুন না। তাতে তিতিবিরক্ত ভারত আগেই জানিয়ে দিয়েছে এবারের শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেবে না। তবে, চিন যে এতটা নিন্দনীয় আচরণ করবে, খেলার মধ্যে রাষ্ট্রের পারস্পরিক ঝগড়াকে টেনে এনে খেলার মানকে কলুষিত করবে, তা আশা করেনি নয়াদিল্লিও।
চিন ফাবাওকে দিয়ে মশাল দৌড় করানোয় তাই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিষয়টিকে 'দুঃখজনক' বলে জানিয়েছেন। শুধু ভারতই না। চিনের এই আচরণে ক্ষুব্ধ অন্যান্য দেশগুলোও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি গালওয়ানে আহত জওয়ানকে দিয়ে মশাল দৌড় করানোয় চিনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বিষয়টিকে 'লজ্জাজনক' এবং 'ইচ্ছাকৃতভাবে প্ররোচনা' দেওয়ার ঘটনা বলেই জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রথমসারির সদস্য সেনেটর জিম রিশ এই প্রসঙ্গে ভারতের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, আমেরিকা বরাবর ভারতের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করেছে এবং করবে।
সাফাই দেওয়ার চেষ্টায় অবশ্য কসুর করেনি চিন। চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, 'আমি জোর দিতে (দিয়ে বলতে) চাই যে বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের মশাল বাহকরা সম্পূর্ণরূপেই প্রতিনিধি ( যোগ্য প্রতিনিধি) এবং তারা যোগ্যতামান পূরণ করেছেন। আমরা আশা করব যে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বিষয় এবং যুক্তির আলোয় এটি দেখবেন'। সাংবাদিকরা চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে পালটা জানতে চান, এতে কি ভারতের স্পর্শকাতর দিকটিকে উপেক্ষা করা হয়নি? জবাবে ঝাও-এর সাফাই, 'একে খুব বেশি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন না'।
স্বভাবতই চিনের এই প্ররোচনামূলক কথাকে খোলামনে গ্রহণ করেনি ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচির অভিযোগ, চিন গালওয়ানে আহত কমান্ডারকে দিয়ে মশাল বহন করিয়ে অলিম্পিকের মতো ক্রীড়া প্রতিযোগিতারও 'রাজনীতিকরণ' করেছে। বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি এই কারণে শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডে চিনের হামলা ঠেকাতে গিয়ে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন। এই দশকে ভারত এবং চিনের মধ্যে যা সবচেয়ে বড় সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। চিন প্রথমে তাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকারও করেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ পর্যন্ত জানায়, তাদের পাঁচ জন সেনা জওয়ান হামলা চালাতে এসে প্রাণ হারিয়েছিল। যদিও ভারত বরাবর দাবি করেছে, চিনের ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা অনেক বেশি। তার মধ্যেই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যম চিনের বাসিন্দাদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই দাবি করেছে, চিনের বেশ কয়েকজন জওয়ান গালওয়ানে হামলা চালাতে এসে খরস্রোতা নদীতে ভেসে গিয়েছিল। যেকথা সম্পূর্ণই গোপন করে গিয়েছে বেজিং।