উত্তেজনা যেন ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারত-চিন সীমান্তে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গালওয়ান ভ্যালি, হটস্প্রিং, প্যানগং লেকের পর এবার উত্তরের দেপসাং ভ্যালি পেরোল চিনা সেনারা। ভারতের উপর চাপ বৃদ্ধি করতেই দেপসাং-এ অনুপ্রবেশ করেছে চিন, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিকে, পাহাড়ের উপরে দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটির আরও কাছাকাছি মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর চিনা সেনা। প্রসঙ্গত দৌলত বেগ ওল্ডি থেকেই ভারত ওই এলাকায় কর্তৃত্ব চালায়। দেপসাং ভ্যালির এই এলাকা যা ওয়াই জাংশন নামে পরিচিত সেখানেই বিপুল সংখ্যক চিনা সেনাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দেপসাং-এ ইতিমধ্যেই যুদ্ধের সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে শি জিনপিং-এর দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই দেপসাং ভ্যালিতে ঘাঁটি গড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল চিন। সেই সময় দু দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষও বাঁধে। যা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলেছিল। পরবর্তীতে কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার পর শান্ত করা হয় পরিস্থিতি। তবে দেপসাং-এ ফের চিনা আগ্রাসনের বিষয়টি নিয়ে সেনার মিডিয়া শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানায় যে, "এই রিপোর্ট এখনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না উড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে না।"
যদিও চিনের দাবি দেপসাং ভ্যালির ওয়াই জাংশন বা বোটলনেক এলাকার পশ্চিমের পাঁচ কিলোমিটার চিনের অন্তর্ভূক্ত। ২০১৩ সালে এই এলাকায় সংঘর্ষ সমাধানের পর এই ওয়াই জাংশনে নতুন টহলদারী বেস তৈরি করে ভারত। এটি এখানকার স্থায়ী টহলদারি বেস। চিনা সেনাদের প্যাট্রোলিং এবং এলাকা আগ্রাসন রুখতে তৈরি হয়েছিল এই বেস। কিন্তু সেপ্টেম্বরেও বার্টসি থেকে ১.৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে এসে টহলদারি চালায় চিনা সেনারা। যদিও ২০১৭ সালের পর থেকেই এই এলাকায় সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছিল ভারত। ফের কি গালওয়ান সমস্যা দেখা দেবে দেপসাং ভ্যালিতেও? সমাধান খুঁজতে মরিয়া দেশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন