সীমান্তে সংঘাতের আবহে আবারও গালওয়ান উপত্য়কাকে নিজেদের অংশ বলেই দাবি জানাল বেজিং। গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে বেজিংয়ের দাবি নিয়ে ফের সরব হয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাউ লিজিয়ান। টুইটারে তিনি দাবি করেছেন, ''ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের যে অংশ রয়েছে, তার মধ্য়েই অন্তর্ভুক্ত গালওয়ান উপত্য়কা''।
এ প্রসঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, ''বহু বছর ধরে চিনা বাহিনী এই অঞ্চলে টহল দিচ্ছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ভারতীয় বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গালওয়ান উপত্য়কায় একতরফা ভাবে রাস্তা, সেতু ও অন্য়ান্য় পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালাচ্ছে''।
আরও পড়ুন: লাদাখে বিরাট সংখ্যক সেনা মোতায়েন, হেলিকপ্টার-কামান সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি ভারতের
যদিও গালওয়ান উপত্য়কা নিয়ে চিনের দাবি গত ১৬ জুন নস্য়াৎ করে ভারত। সেদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। যা কিছু কার্যকলাপ করছে ভারত, তা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় নিজেদের অংশের মধ্য়েই করছে। কিন্তু এরপরও ফের গালওয়ান নিয়ে নিজেদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হল ড্রাগনের দেশ। গত সপ্তাহে পিএলএ-র ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল জাং শিলি দাবি করেন, ''গালওয়ানের সার্বভৌমত্ব বরাবরই চিনের''।
ঝাউ লিজিয়ান আরও জানিয়েছেন, ''৬ মে ভোররাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে চিনা ভূখণ্ডে ঢোকে ভারতীয় বাহিনী। এরপর তারা ব্য়ারিকেড, দুর্গ তৈরি করে। এজন্য় বাধা দেয় চিনা বাহিনী''। শুক্রবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি নয়া দিল্লি।
উল্লেখ্য়, শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা অনুপ্রবেশ হয়নি, কোনও সেনা চৌকিও দখল হয়নি। একইসঙ্গে মোদী বলেন,”আমাদের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। কিন্তু ভারত মাতাকে যারা এই স্পর্ধা দেখিয়েছে, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে”। নমো আরও বলেছেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য় যা যা করার দরকার, তা করছে ভারতীয় সেনা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন