মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং তাদের জোটসঙ্গীরা তাইওয়ানে চিনের সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করেছে। সাতটি শিল্পোন্নত দেশের জোটও তীব্র নিন্দা করেছে চিনের আচরণের।
তাইওয়ান দ্বীপের কাছে এক সপ্তাহের সামরিক মহড়ার পর ফের তাইওয়ানে হামলার হুমকি দিয়েছে চিন। তাইওয়ান দখল করে নেওয়ার কথা বলেছে। কারণ, তাইওয়ান নাকি চিনের কাছে রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। চিনের এই হুমকিকে মোটেই খাটো চোখে দেখছে না তাইওয়ান। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিনের এই উদ্বেগে তাদের ইচ্ছা বা পরিকল্পনাই প্রকাশ পেয়েছে। এই অবস্থায় চিনকে রুখতে স্বশাসিত তাইওয়ান পালটা সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে।
Advertisment
পালটা চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সাংবাদিকদের বলেছেন, 'স্বাধীন হতে চাওয়া এবং বহিরাগত শক্তির উসকানি, তাদের সঙ্গে যোগসাজশ তাইওয়ানের মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করবে। তাইওয়ানকে বিপর্যয়ের অতল গহ্বরে ঠেলে দেবে। তাইওয়ানের স্বাধীনতার ইচ্ছা কখনও পূর্ণ হবে না। তাদের জাতীয় স্বার্থ বিক্রি করার চেষ্টাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ হবে।'
চিনের কথামতো মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাঁর তাইওয়ান সফর বাতিল না-করায় চিন বেজায় ক্ষুব্ধ। তারপরই গত বৃহস্পতিবার থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। জল, স্থল, আকাশপথে সামরিক মহড়া চলে। মহড়া চলাকালীন তাইওয়ানের সীমানা মানা হয়নি।
তাদের সেই সীমানায় ঢুকে ইচ্ছেমতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিনের সেনা। যার জেরে তাইওয়ানের জাহাজ এবং বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াই নয়, ওই সময় তাইওয়ানে সাইবার হামলাও চালিয়েছে চিন। যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল তাইওয়ানের যাবতীয় ডিজিটাল পরিষেবা। কমপিউটার খুললেই শুধু লেখা ভেসে আসছিল, 'যুদ্ধবাজ পেলোসি, তাইওয়ান ছাড়।'
ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং তাদের জোটসঙ্গীরা তাইওয়ানে এই সামরিক মহড়ার তীব্র নিন্দা করেছে। সাতটি শিল্পোন্নত দেশও তীব্র নিন্দা করেছে চিনের আচরণের। ব্রিটেন সরকার ইতিমধ্যেই সেদেশের চিনা রাষ্ট্রদূত ঝেং জেগুয়াংকে তলব করে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চিনের হুমকির কারণ জানতে চেয়েছে। পালটা চিনের বিদেশমন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ব্রিটেনকে। তাদের থেকে স্কটল্যান্ড ছিনিয়ে নেওয়া হলে ব্রিটেন কি শান্ত হয়ে চুপ করে বসে থাকবে? সেই প্রশ্নই করেছেন চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তার মধ্যেই তাইওয়ান অভিযোগ করেছে, তাদের অঞ্চলকে দীর্ঘদিন ধরেই অধিকার করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। পেলোসির সফরকে তারা একটা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে মাত্র।