ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে আবারও দাবি করল বেজিং। সোমবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাউ লিঝিয়ান জানিয়েছেন, সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণাধীন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দু'দেশই পারষ্পরিক আলোচনার মাধ্য়মে জট কাটাতে পারে। উল্লেখ্য়, এর আগেও, সীমান্ত পরিস্থিতি আয়ত্তেই রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র।
ঠিক কী বলেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র?
ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদ ইস্য়ুতে এদিন ঝাউ লিঝিয়ান বলেন, 'দু'দেশের নেতাদের মধ্য়ে ঐক্য় গড়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চিন। আমরা যেমন আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে অঙ্গীকারবদ্ধ, তেমনই সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়েও দায়বদ্ধ'।
তিনি আরও বলেছেন, 'সীমান্ত এলাকায় এখন মোটের উপর পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণাধীন। আমাদের দু'দেশের আলোচনা করার সুষ্ঠু মাধ্য়ম রয়েছে এবং আমরা যথাযথভাবে এ সমস্য়া মেটাতে পারব'।
আরও পড়ুন: ‘চিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা মেটাচ্ছে ভারত’, ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবে জবাব নয়া দিল্লির
এদিকে, ভারত-চিন সমস্য়া মেটাতে মধ্য়স্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের পরই এ ইস্য়ুতে মুখ খোলে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অচলাবস্থা প্রসঙ্গে গত বুধবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘সীমান্তে পরিস্থিতি পরিচালনায় আমাদের সৈনিকরা দায়িত্বশীলভাবে পদক্ষেপ করেছেন এবং সীমান্তে যে কোনও সমস্য়া সমাধানে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও প্রোটোকল মেনেছেন তাঁরা”।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডোকলামে অচলাবস্থার পর গত মাসের শুরুতে ফের উত্তেজনা ছড়ায় ভারত-চিন সীমান্তে। এবার লাদাখ ও সিকিম এলাকায় অচলাবস্থা তৈরি হয়। গত ৫ মে প্য়াংগং সো লেক এলাকায় ভারত-চিন সেনার মধ্য়ে রীতিমতো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জখম হয়েছে উভয়পক্ষই। গত ৯ মে সিকিম সেক্টরে নাকু লা পাসের কাছে মুখোমুখি ভাবে অবস্থান করেন প্রায় ১৫০ ভারতীয় ও চিনা সেনা জওয়ানরা। উভয়পক্ষের ১০ জন সৈনিক জখম হন এ ঘটনায়। উল্লেখ্য়, এর আগে ২০১৭ সালে ডোকলামে প্রায় ৭৩ দিন ধরে অচলাবস্থা চলেছিল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন