ভারত-চিন টানাপোড়েনের আবহে সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি 'নিয়ন্ত্রণে' বলে বুধবার জানালেন চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্র।
উল্লেখ্য়, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকা নিয়ে নতুন করে ভারত-চিন সম্পর্কে চাপানউতোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই প্রেক্ষিতে চিনা বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্রের এহেন বার্তা এই পরিস্থিতিতে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ''আমাদের ভূ-খণ্ডের সার্বভোমত্ব ও নিরাপত্তার রক্ষার্থে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আমরা দায়বদ্ধ। এখন, ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি মোটের উপর স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রণাধীন। পারষ্পরিক আলোচনার মধ্য়ে আমরা এই সমস্য়া সমাধান করতে সক্ষম''।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য তৈরি হোন, সেনাকে বার্তা চিনা প্রেসিডন্টের
উল্লেখ্য়, ভারত-চিন সীমান্তে টানাপোড়েনের মধ্য়েই চিনা প্রেসিডেন্টের মন্তব্য়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। দেশের সাবর্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য় প্রস্তুতির বার্তা দেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ডোকলামে অচলাবস্থার পর সম্প্রতি পূর্ব লাদাখে প্য়াংগং সো এলাকায় মুখোমুখি ভাবে অবস্থান করে ভারতীয় ও চিনা সেনা। লাদাখে অচলাবস্থা নিয়ে ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনীর মধ্য়ে ৬ দফায় আলোচনার প্রয়াস চালানো হয়, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। গালওয়ান উপত্য়কায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার উপর বিপুল পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে চিন। এর পাল্টা হিসেবে বাড়তি সেনা মোতায়েন করছে ভারতও। উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, লাদাখে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন