/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/cats-207.jpg)
ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের পাসপোর্ট এবং ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে চলেছে চিন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার আর্থিক মন্দা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। করোনার জেরে লাগাতার লকডাউনে চিনের আর্থিক হাল ক্রমশই খারাপ হয়ে পড়ছে। সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বেশ কিছু ব্যবস্থা দ্রুত নিতে চায় চিন।
জিনপিং সরকারের এই ঘোষণা বুঝিয়ে দিয়েছে যে চিন এখনও করোনার জন্য কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। এমনিতে চিনের আর্থিক ক্ষেত্রে পর্যটন একটা বড় স্তম্ভ। প্রতিবছরের শেষ দিকে চিনে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের ঢল নামে। কিন্তু, গত তিন বছর সেই আয় থেকে দূরেই রয়েছে শি জিনপিঙের দেশ। পাশাপাশি, বহু চিনা নাগরিকও চাইছেন, বিদেশে তাঁদের আত্মীয়দের কাছে যেতে। পাসপোর্ট এবং ভিসা না-থাকায়, এক্ষেত্রেও ভুগতে হচ্ছে ওই সব চিনা নাগরিকদের।
এই পরিস্থিতি জানুয়ারি থেকে কাটিয়ে ওঠা যায় কি না, সেই ব্যাপারে এখন ভাবতে বসেছে চিনা প্রশাসন। করোনার সংক্রমণ এবং ভাইরাস একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সেই সময়টুকু ইতিমধ্যেই পেরিয়ে যাবে। সেই আশাতেই পাসপোর্ট এবং ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া নতুন করে চালু করার কথা জানিয়েছে চিনা প্রশাসন। জিনপিং সরকারের এই ঘোষণায় নতুন করে আশার আলো দেখতে পেয়েছেন চিনের নাগরিকরা। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থেকে আর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে কার্যত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। পাসপোর্ট এবং ভিসা যেন তাঁদের মুক্তির দূত। এমনটাই মনে করছেন চিনের বহু নাগরিকই।
আরও পডু়ন- বুস্টারের বদলে করোনার অরিজিনাল ডোজ তৃতীয়বার নিলেও ভালো কাজ দেবে, মত বিজ্ঞানীর
চিনা পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি চন্দ্র নববর্ষ শুরু হতে চলেছে। সেই সময়টা চিনের বাসিন্দাদের কাছে বিরাট উৎসব। আর, এই সময় থেকেই পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যবস্থা করতে চায় জিনপিং সরকার। কিন্তু, সেক্ষেত্রে বহু দেশই আশঙ্কায়। কারণ, চিনের নাগরিকরা সেদেশে এলে করোনার সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিশেষ করে, ওই সব নাগরিকদের ব্যবহৃত পণ্য এবং অন্যান্য সামগ্রী থেকে করোনা ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন দেশের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরাও এক্ষেত্রে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে চান। জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান ইতিমধ্যেই চিন থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। আর, চিন তো ২০২০ থেকেই বিদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার চাপে সেদেশের নাগরিকদের পাসপোর্টও ইস্যু করছে না।
Read full story in English