এশিয়া মহাদেশে ভারত যেভাবে এগিয়ে চলেছে সেই প্রেক্ষিতে চিন ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রপক্ষদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককেও রুখে দিতে চায় , মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। প্রকাশিত প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, চিন চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের সর্বাধিক শক্তি থেকে স্থানচ্যুত করতে।
চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতের সীমান্তে বিতর্কিত সংঘর্ষের মাধ্যমে আরও উস্কে দিয়েছে পরিস্থিতি। সেখানে উভয়পক্ষের সেনা নিহত হয়েছে এবং ভারতের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদনটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইকেল আর পম্পেওর নেতৃত্বে এসেছে, যারা গত কয়েক মাস ধরে বেজিংয়ের আগ্রাসনের সমালোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন, আফগানিস্তানে নারকীয় হত্যালীলা অস্ট্রেলিয়ার সেনার, বিস্ফোরক রিপোর্ট ফাঁস
গত মাসে নয়াদিল্লিতে পম্পেও বলেছিলেন যে ভারতীয় এবং মার্কিন নেতারা এবং নাগরিকরা দেখেছেন যে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) "গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের কোনও বন্ধু নয়" এবং আমেরিকা ভারতের জনগণ তাদের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে পাশে দাঁড়াবে। এই রিপোর্টে সাফ জানান হয়, দেশের সুরক্ষা, স্বায়ত্তশাসন এবং অর্থনৈতিক স্বার্থকে ক্ষুন্ন করছে চিন।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, "চিন ভারতকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করে। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন