পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন অক্ষুণ্ণ রাখার কথা ঘোষণা করল চিন। মঙ্গলবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে থাকার শপথ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে পরিস্থিতির যতই বদল ঘটুক না কেন নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন থেকে তারা সরবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বেজিং।
প্রথম চিন-পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রী স্তরের কৌশলগত আলোচনায় ওয়াং বলেছেন, "পৃথিবীতে বা এই অঞ্চলে যাই ঘটুক না কেন, সার্বভৌমত্বের স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সম্মান বজায় রাখার ব্যাপারে পাকিস্তানকে সর্বতো ভাবে সাহায্য করবে চিন।"
আরও পড়ুন, চিন কেন জৈশ-এ-মহম্মদ ও আজহার মাসুদকে বাঁচাচ্ছে?
ওয়াংয়ের সঙ্গে ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। তিনি এই 'কঠিন সময়ে' পাকিস্তানকে সমর্থনের জন্য বেজিংয়ের প্রতি ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন।
পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জৈশ এ মহম্মদের আত্মঘাতী হানায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। তার পর পাকিস্তানের বালাকোটে আকাশপথে হামলা চালায় ভারত। এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরে চিনের এই মন্তব্য সামনে এল। ভারতে আত্মঘাতী হানা এবং তৎপরবর্তী টেনশনের কারণে এলওসি জুড়ে টেনশন তৈরি হয়। জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে চিন চতুর্থবার আপত্তি তোলার এক সপ্তাহও কাটেনি। তার মধ্যেই চিন-পাক বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠক আয়োজিত হয়েছে।
কুরেশি আরও বলেন, "দুটি দেশের মধ্যে পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বিদেশমন্ত্রী ওয়াংকে জানিয়েছি যে ভারতীয় কাশ্মীরের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, বিশেষ করে পুলওয়ামার ঘটনার পর মানবাধিকার লঙ্ঘন বেড়ে গেছে। কঠিন সময়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে চিন যে ভূমিকা আরও একবার পালন করল, পাকিস্তান তাকে স্বাগত জানাচ্ছে।"
কাশ্মীর প্রসঙ্গে কুরেশি বলেন, "বিষয়টি উদ্বেগজনক কারণ এর ফলে প্রতিক্রিয়ার জন্ম হবে, এবং সে প্রতিক্রিয়া থেকে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হবে, যে উত্তেজনা অবশ্য পরিহার্য। ভারতীয় কাশ্মীরের পরিস্থিতি নতুন করে পর্যালোচনা হওয়া দরকার বলে আমার মনে হয়।"
বেজিংয়ে আগামী মাসেই আয়োজিত হতে চলেছে দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম। কুরেশি বলেন, পাকিস্তানকে সমর্থনের ব্যাপারে চিন যথেষ্ট ঔদার্য প্রদর্শন করেছে। আমাদের মধ্যে ভাল আলোচনা হয়েছে... সিপেকের দ্রুত রূপায়ণের ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Read the Full Story in English