প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর (এলএসি) নির্বিচারে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চিন। ড্রাগনের দেশ এলএসি বরাবর সেনা সরানো তো দূরের কথা, বাড়িয়ে চলেছে একের পর এক সামরিক নির্মাণ। এই সকল এলাকায় বাঙ্কার তৈরি করছে চিন। এমনকী অনেক জায়গায় বিমানবন্দর ও হেলিপ্যাড তৈরি করছে ড্রাগনের দেশ। চীন পুরো সীমান্ত এলাকায় ঢেলে সাজাচ্ছে তাদের প্রতিরক্ষা বহর। এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন তার বার্ষিক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে বেজিংয়ের কাছে এখন ৫০০ টিরও বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ২০৩০ সালের সেই সংখ্যা এক হাজারের বেশি হয়ে যাবে। একই সঙ্গে চিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি শক্তিশালী অস্ত্রাগার তৈরি করছে।
আমেরিকার পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ৫,২৪৪ রাশিয়ার কাছে ৫,৮৮৯ টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। ভারতের কাছে ১৬৪টি এবং পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পারমানবিক অস্ত্র রয়েছে। পেন্টাগন বলেছে যে চিন স্থল, আকাশ ও সমুদ্রের পাশাপাশি পারমাণবিক, মহাকাশ, কাউন্টার-স্পেস, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ এবং সাইবারস্পেস সহ যুদ্ধের সমস্ত ক্ষেত্রে সামরিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি চিনের সামরিক বাহিনীকে দ্রুত আধুনিকীকরণ করছে।
২০৪৯ সালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে বিশ্বমানের সেনাবাহিনী তৈরির লক্ষ্য সামনে রেখেছে চিন। পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনার পারদ কিছুতেই কমছে না। গত ৪ বছর ধরে এই অঞ্চলে চিন ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। গত ৯ থেকে ১০ অক্টোবর কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের ২০তম দফা আলোচনাতেও কোন ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। পেন্টাগন বলেছে যে চিন গত বছর এলএসির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল লাদাখে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে।
পেন্টাগন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে ডোকলামের কাছে অনেক নতুন বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে। নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে প্রতিবেশী ভুটানের বিতর্কিত এলাকায় নতুন নতুন গ্রাম গড়ে তুলছে চিন। প্যাংগং লেকে সেতু নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে চিন।