ভারত-চিন সীমান্তের 'জরুরী নিয়ন্ত্রণ' পরিস্থিতি এখন উধাও। আগের পরিস্থিতি বর্তমানে অতীত। গোটা পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল। এমনটাই জানিয়েছেন একজন উচ্চপদস্থ চিনা কূটনীতিক। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ভারতে চিনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর চেন জিয়ানজুন বলেছেন, 'দুই এশীয় দৈত্য কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্কের মাধ্যমে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতির 'ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রিত'।
এর আগে ভারতীয় ও চিনা সৈন্যরা ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। যার ফলে উভয়পক্ষের কয়েকজন জওয়ান আহত হয়েছিলেন। সংবেদনশীল সেক্টর ইয়াংটসের কাছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এই সংঘর্ষ দুই পক্ষের স্থবিরতার মধ্যে ঘটেছে। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছিল। গালওয়ানের ঘটনা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গত কয়েক দশকে সবচেয়ে গুরুতর সামরিক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত।
চেন জিয়ানজুন বলেন, 'চিন সবসময় কৌশলগত এবং দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে চিন-ভারত সম্পর্ককে দেখেছে। আর, সেইমতো চলেছে। যদিও এই সম্পর্ক বিভিন্ন সময়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, তবে চিনের অবস্থান কখনও বদলায়নি। আমরা এই সম্পর্ককে সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' চেন জিয়ানজুন বলেন, 'এই দুটি দেশ তাদের প্রাচীন সভ্যতা থেকে শক্তি অর্জন করতে পারে। বিশ্বের সঙ্গে প্রাচ্যের জ্ঞান ভাগ করে নিতে পারে। যাতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যৌথভাবে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে।'
আরও পড়ুন- মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল, কীভাবে প্রশ্ন পৌঁছল আদালতে?
চিনের কূটনীতিবিদ বলেন, 'পরিবর্তনশীল এবং বিশৃঙ্খল এই বিশ্বে চিন ও ভারত যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও প্রাতিষ্ঠানিক অধিকারের পক্ষে উচ্চস্বরে কথা বলতে পারে। দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে এশিয়া এবং তার বাইরে ভবিষ্যতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।' একইসঙ্গে জিয়ানজুন বলেন, 'জি২০ ও সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সভাপতি হিসেবে ভারত যে ভূমিকা পালন করে চলেছে, চিন তার পাশে রয়েছে।'