লাদাখ সীমান্তে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর পর এখনও অশান্ত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা। সেই আবহে উত্তপ্ত দেশের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রও। চিনের এহেন আগ্রাসনের জেরে ভারতে চিনের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করতে নেওয়া হচ্ছে প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ।
ইতিমধ্যেই দেশকে চৈনিক প্রভাব মুক্ত করতে ভারতীয় রেল চিনের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার সঙ্গে একটি গুরত্বপূর্ণ চুক্তি বাতিল করার পথে রয়েছে। এছাড়া যোগাযোগমন্ত্রকের তরফে রাজ্যের ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)-কে জানিয়ে দিয়েছে কাজের আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে কোনও চিনা দ্রব্য ব্যবহার না করতে। বৃহস্পতিবার এই দুই ক্ষেত্রের সূত্র মারফৎ এমনটাই খবর জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত: ফের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক, বাহিনীকে অ্যালার্ট থাকতে নির্দেশ
সরকারি সূত্র বলেন,"যোগাযোগ মন্ত্রকের তরফে বিএসএনএলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪জি আপগ্রেডেশনে কোনও রকম চিনা পণ্য ব্যবহার না করতে। এখনও টেন্ডাররা আবার নতুন করে কাজ করবে।" সরকারি এই আধিকারিক বলেন, "বেসরকারি মোবাইল পরিষেবা সরবরাহকারীদেরও চিনের তৈরি জিনিষের উপর থেকে নির্ভরতা কমাতে বলা হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিনের সরঞ্জামাদি দিয়ে তৈরি নেটওয়ার্কগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। হুয়েই এবং জেডটিই-এর মতো চিনা সংস্থার মালিকানা কী হতে চলেছে নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে সেটিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।"
অন্যদিকে, ইস্টার্ণ ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোর চিনের সিগন্যালিং বেহমথ চায়না রেলওয়ে সিগন্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন (সিআরএসসি)-এর সঙ্গে চুক্তি চুকিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই ডেকগুলি সাফ করা শুরু করে দিয়েছে। ২০১৪ সালে ৪০০ কিলোমিটার রেলপথে সিগনালিংয়ের কাজ করার জন্য চুক্তি পেয়েছিল এই চিনা সংস্থা। রেল আধিকারিকরা জানান রেলের এই মেগা প্রজেক্টে এটিই একমাত্র চিনা সংস্থা যারা ভারতীয় সংস্থাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে ফোনে কড়া বার্তা জয়শংকরের
প্রায় ৫০০ কোটির এই চুক্তিতে ছিল উত্তরপ্রদেশের নিউ ভাউপুর-মুগলসরাইয়ের ৪১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে বিভিন্ন ধরণের সিগনালিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কাজ। এ বিষয়ে ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনুরাগ সাচানের সঙ্গে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "যতক্ষণ না অফিসিয়ালি কোনও কিছু হচ্ছে ততক্ষণ এই বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমরা খুশি হব যদি ভারতীয় সংস্থারা এগিয়ে এসে কাজ করে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন